Advertisment

RBI overcharging on interest: ঋণগ্রহীতাদের নানা কথা বুঝিয়ে বেশি টাকা হাতাচ্ছে ব্যাংকগুলো! ধরে ফেলে কড়া নির্দেশ আরবিআইয়ের

Overcharging on interest: ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে, অতিরিক্ত যে সুদের টাকা গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
RBI, Loan

RBI-Loan: ইতিমধ্যেই সার্কুলার জারি করা হয়েছে। (প্রতীকী ছবি)

RBI has advised banks to refund borrowers for overcharging on interest: প্রাপ্যর চেয়ে ঋণগ্রহীতার থেকে বেশি টাকা সুদ নিচ্ছে ব্যাংক। কোনও ঋণ মাসের ১৫ তারিখে নেওয়া হলেও, গ্রাহকের থেকে একমাসের অর্থাৎ ৩০ দিনের সুদ নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। যা বেনিয়ম। এই বেনিয়ম আজ থেকে নয়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এবার তা নজরে এসেছে রিজার্ভ ব্যাংকের। ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে, অতিরিক্ত যে সুদের টাকা গ্রাহকদের থেকে নেওয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে।

Advertisment

গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকগুলো যে অন্যায়টা করছে
২০২৩ সালের ৩১ মার্চ শেষ হওয়া অর্থবর্ষে ব্যাংকিং এবং নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনগুলোর (এনবিএফসিএস) অনসাইট পরীক্ষার সময়, আরবিআই দেখতে পেয়েছে যে ব্যাংকগুলো ঋণ অনুমোদনের তারিখ বা ঋণচুক্তি সম্পাদনের তারিখ থেকেই সুদ নিচ্ছে। অথচ, সেটা গ্রাহকের কাছে তহবিল পৌঁছনোর প্রকৃত তারিখ থেকে হওয়া উচিত। একইভাবে, চেকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, চেক দেওয়ার তারিখ থেকে সুদ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেই চেক গ্রাহকের কাছে পৌঁছেছে বেশ কয়েক দিন পরে। ঋণ বিতরণ বা পরিশোধের ক্ষেত্রে, কিছু ব্যাংক শুধুমাত্র যে সময়ের জন্য ঋণ বকেয়া ছিল, সেই সময়ের জন্য সুদ নেওয়ার পরিবর্তে পুরো মাসের জন্য সুদ ধার্য করছে। আবার এমনটাও দেখা গেছে, যে ব্যাংকগুলো এক বা একাধিক কিস্তি অগ্রিম সংগ্রহ করছে, তারা সেই টাকাটা বাদ দিয়ে, সুদের জন্য পুরো ঋণের টাকাটাই নিচ্ছে।

আরবিআইয়ের সর্বশেষ নির্দেশ কী?
সোমবার (২৯ এপ্রিল) জারি করা এক সার্কুলারে আরবিআই, ব্যাংক এবং এনবিএফসিগুলোকে ঋণ বিতরণের পদ্ধতি, সুদের আবেদন এবং অন্যান্য চার্জ সম্পর্কিত তাদের পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা বদলাতে বলেছে। একইসঙ্গে, প্রয়োজনে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সঙ্গে কী কী বেনিয়ম করছে, তা নির্দেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক। ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতার স্বার্থে আরবিআই, ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, গ্রাহকদের এই ধরনের অতিরিক্ত সুদ এবং অন্যান্য চার্জ করা অর্থ ফেরত দিতে হবে।

সুদের হার নিয়ে আরবিআইয়ের নীতি কী?
২০০৩ সাল থেকে আরবিআই ব্যাংক, এনবিএফসির মত বিভিন্ন সংস্থাকে বলে আসছে, ঋণগ্রহীতাদের ওপর বসানো সুদের চার্জে ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা আনতে হবে। একইসঙ্গে আরবিআই জানিয়েছে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর যে দোষ-ত্রুটি ধরা পড়ছে, তা গুরুতর উদ্বেগের ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে ব্যাংকগুলোকে চেকের বদলে অনলাইনে টাকা হস্তান্তরে উৎসাহ দিয়েছে আরবিআই।

আরও পড়ুন- হ্রদ ভেঙে নিশ্চিহ্ন হতে পারে পাহাড়ের শহরগুলো! ভয়ংকর পরিস্থিতি সামলাতে কী ব্যবস্থা প্রশাসনের

সুদের হার বদলালে, সেটা কি ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের জানায়?
ঋণগ্রহীতাদের একটি বড় অভিযোগ হল, সুদের হার বদলালেও ব্যাংকগুলো তা গ্রাহকদের জানায় না। অথচ, তার প্রভাব পড়ে ইএমআইয়ের ওপর। সেকথা জানার পর আরবিআই নির্দেশ দিয়েছে, এখন থেকে সুদের হার বদলালে তা ঋণগ্রহীতাদের জানাতে হবে। ইএমআই অথবা ঋণশোধের মেয়াদ বৃদ্ধি করলে, তা-ও জানাতে হবে ঋণগ্রহীতাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ মেটাতে না পারলে, কতদিনের মধ্যে ঋণগ্রহীতা সেই ঋণ মেটাতে বাধ্য থাকবেন, তা-ও স্পষ্ট করে গ্রহীতাকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক।

RBI bank Home Loan Interest Rate Loan default Case
Advertisment