ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) ২,০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, আপাতত পুরনো নোটগুলোও চালু থাকবে বলেই শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে। কিন্তু, একটা সময় পরে পুরনো ২,০০০ টাকার নোটগুলো বাতিলই হয়ে যাবে। যেমনটা বছর ছয়েক আগে ৫০০ আর ১,০০০ টাকার নোটের হাল হয়েছিল, তেমনই। ওই সময়ের মধ্যে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া যাবে। অথবা, অন্য কোনও ব্যাংকের শাখায় গিয়ে নোটবদল করা যাবে।
আরবিআই কেন ২,০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে?
২,০০০ টাকার নোট ২০১৬ সালের নভেম্বরে আরবিআই আইন, ১৯৩৪-এর ধারা ২৪(১) অনুযায়ী চালু হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের পর বাজারের দ্রুত অর্থনীতির দাবি মেনে তা চালু করা হয়েছিল। সেই উদ্দেশ্য পূরণের সঙ্গে এবং অন্যান্য মূল্যের নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে চলে আসার পর, ২০১৮-১৯ সালে ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে যায়।
কবে চালু হয়েছিল ২,০০০ টাকার নোট?
আরবিআই ২০১৭ সালের মার্চের আগে বেশিরভাগ ২,০০০ টাকার নোট চালু করেছিল। এই নোটগুলো এখন তাদের আনুমানিক ৪-৫ বছরের আয়ুর শেষের দিকে। এখন আর, বাজারে ২,০০০ টাকার নোট তেমন একটা দেখা যায় না। কারণ, মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে অন্যান্য নোট পর্যাপ্ত আছে। রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, এই সব বিবেচনা করে এবং পরিষ্কার নোট চালুর নীতি অনুসরণ করেই ২,০০০ টাকার নোট বাজার থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফের নোটবাতিল, বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে RBI
পরিষ্কার নোট নীতি কী?
ক্লিন বা পরিষ্কার নোট নীতি হল, জনসাধারণকে ভালো মানের নোট বা কয়েন দেওয়া। যাতে মুদ্রার নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে বাজার থেকে নোংরা নোট প্রত্যাহার করা। রিজার্ভ ব্যাংক এর আগে ২০০৫ সালের পূর্বে বাজারে আনা সমস্ত ব্যাংকনোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কারণ, ২০০৫-এর পরে ছাপানো ব্যাংকনোটের চেয়ে আগের নোটগুলোর নিরাপত্তা কম ছিল।