RBI has kept policy rates unchanged: রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাংকের আর্থিক নীতি কমিটি (The Monetary Policy Committee-MPC)। বুধবার (৩ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত, তিন দিন ধরে নীতি কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার ফলে, রেপো রেট ৬.৫ শতাংশই থাকল। পাশাপাশি, সামঞ্জস্যপূর্ণ মুদ্রানীতি প্রত্যাহারের অবস্থানও বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
মুদ্রানীতি কমিটিতে সিদ্ধান্ত
ছয় সদস্যের মুদ্রানীতি কমিটিতে ৫:১ অনুপাতে দুটো সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়েছে। মুদ্রানীতি কমিটির মাথায় রয়েছে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে ৭ শতাংশ। একইসঙ্গে মুদ্রানীতি কমিটি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হারের লক্ষ্যমাত্রা রাখল ৪.৫ শতাংশ।
আরবিআই রেপো রেট কেন অপরিবর্তিত রাখল?
রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার কারণ হল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যেও খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি বজায় আছে। তবে, সামগ্রিকভাবে তেমন একটা মুদ্রাস্ফীতি ঘটেনি। নতুন আর্থিক নীতি ঘোষণার সময় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি একটা আশঙ্কা তৈরি করেছে। আর্থিক নীতি কমিটি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে, সেদিকে বিশেষ নজর রাখছে আর্থিক নীতি কমিটি।
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নরের বক্তব্য
এই ব্যাপারে শক্তিকান্ত দাস বলেন, 'দুই বছর আগে, ২০২২ সালের এপ্রিলে ঠিক এই সময়ে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-এর স্ফীতি বেড়ে ৭.৮ শতাংশ হয়েছিল। মূল সমস্যাটা ছিল মুদ্রাস্ফীতি। সেই মুদ্রাস্ফীতি এখন কমছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসছে। আমরা চাই মুদ্রাস্ফীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক। আর, স্বাভাবিকই থাকুক। যতক্ষণ না সেটা হয়, আমাদের চেষ্টা চলতেই থাকবে।'
আরও পড়ুন- ছুটি পেলেই উত্তরাখণ্ডে যেতে চান? এখনই সাবধান না হলে বড় বিপদে পড়তে পারেন
মুদ্রানীতি কমিটির লক্ষ্য
আরবিআইয়ের আসা, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মুদ্রাস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে। রবিশস্য চাষ হয়ে বাজারে এলেই খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি কমবে। তার আগে পর্যন্ত যে কোনও ভাবে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই মুদ্রানীতি কমিটির লক্ষ্য বলে, রিজার্ভ ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটি জানিয়েছে। মুদ্রানীতি কমিটির মার্চের বুলেটিন অনুযায়ী, 'ঝুঁকির পরিমাণ কম' রাখাই আপাতত কমিটির মূল্য লক্ষ্য। সেই ভাবেই নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে।