Advertisment

নির্মাণকর্মী ও দিনমজুররা কী পাবেন, কী পাবেন না?

গরিব মানুষদের জন্য ১০ লক্ষ রেশন প্যাকেট বিলির কথা বলা হয়েছে এবং তাঁদের জন্য লঙ্গরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ছোট দোকান, ফুচকা বিক্রি, অতিক্ষুদ্র শিল্প ব্যাপক মার খাচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়েছে রোজগার। সংসারে পড়েছে টান।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সে রাজ্যের প্রত্যেক নথিভুক্ত নির্মাণক্র্মীদের জন্য ৩০০০ টাকা করে অর্থসাহায্যে দেবার কথা ঘোষণা করেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস খুঁজে দেখল এর ফলে কারা সুবিধা পাবেন, কারা বাদ থাকবেন।

Advertisment

নির্মাণকর্মীদের বিভাগে কারা পড়েন?

রাজমিস্ত্রি, সাফাইকর্মী, ছুতোর, পেন্টা, ইটভাটাকর্মীরা এই বিভাগের আওতায় পড়েন। তাঁদের পাঞ্জাব সরকারের কারখানা বিভাগে নথিভুক্ত থাকতে হবে।

কত নির্মাণকর্মী নথিভুক্ত?

মোট ৩.১৮ লক্ষ কর্মী এই বিভাগে নথিভুক্ত এবং মোট ৯৬ কোটি টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি জেপি সিং জানিয়েছেন, আমরা এই কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছি এবং দিন দুয়েকের মধ্যেই তাঁদের অ্যাকউন্টে টাকা চলে যাবে। তবে অনেক নথিভুক্ত নির্মাণকর্মীই সরকারের এই সাহায্য ঘোষণার কথা জানেনই না।

যাঁরা নথিভুক্ত নন, তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

এঁদের ব্যাপারে সরকার এখনও কোনও ঘোষণা করেনি। এই সুবিধা কেবলমাত্র নথিভুক্তদের জন্য।

দিনমজুরদের জন্য সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

রাজ্য সরকার এখনও দিন মজুরদের জন্য কোনও আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেনি। যেমন কুলি রিকশাওয়ালা ইত্যাদিরা বঞ্চিতই। তবে গরিব মানুষদের জন্য ১০ লক্ষ রেশন প্যাকেট বিলির কথা বলা হয়েছে এবং তাঁদের জন্য লঙ্গরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ছোট দোকান, ফুচকা বিক্রি, অতিক্ষুদ্র শিল্প ব্যাপক মার খাচ্ছে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী ও ঝাড়ুদারেরা কাজ হারিয়েছেন।

শ্রমিক ইউনিয়নগুলি কী বলছে?

কারখানা মজদুর ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট লখবিন্দর সিং বলছেন, কর্মীদের জন্য সাহায্য মানে বিশাল ব্যাপার, বহু ক্ষতিপূরণ এখনও দেওয়া বাকি। তিনি আরও বলেন কারখানা বিভাগকে ৩.১৮ লক্ষ নথিভুক্ত কর্মীদের রেকর্ড দেখতে হবে যাতে যাঁদের প্রকৃতই প্রয়োজন, তাঁরাই এই সুবিধা পান।

coronavirus
Advertisment