National leopards count: গত সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছিল চিতাবাঘের জাতীয় সমীক্ষার ফলাফল। সংখ্যাটা ১৩,৮৭৪। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালে অনুমান করা হয়েছিল চিতাবাঘের সংখ্যা ৭,৯১০। সেই তুলনায় সংখ্যাটা ৭৫% বেড়েছে। এই প্রসঙ্গে মনে রাখা উচিত, ক্যামেরা পয়েন্টের সংখ্যাও এই সময়কালে বেড়েছে। ২০১৪ সালে চিতাবাঘ গণনার জন্য বসানো ক্যামেরার সংখ্যা ছিল ৯,৭৭৭। সেটাই ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ২৬,৮৩৮। চিতাবাঘের ছবি তোলার সংখ্যাও ২০১৪ সালে ছিল ১,৬৪৭। সেটা ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ৫,২৪০। পাশাপাশি, ২০১৮ সালে ক্যামেরা বসানো হয়েছিল ১২,৮৫২টি জায়গায়। সেটাই ৮ শতাংশ বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৩২,৮০৩টি।
- ভারতে বেড়েছে চিতাবাঘের সংখ্যা।
- বন ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে চিতাবাঘ।
- সংরক্ষিত এলাকার প্রান্তে থাকা চিতাবাঘগুলোই এমন আচরণ করছে।
মূলত, যে সব এলাকায় চিতাবাঘের গণনা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য এবং ব্যাঘ্র সংরক্ষণাগার। Jacobson et al. (২০১৬), অনুসারে ভারতে যত সংরক্ষণাগার রয়েছে, তার মাত্র ১১% এলাকা রয়েছে চিতাবাঘ সংরক্ষণের জন্য। এই সুরক্ষিত অঞ্চলগুলোর বাইরে চিতাবাঘের সংখ্যা বেশ কম, মাত্র ৬৭%। সংরক্ষিত বনের প্রান্তে থাকা চিতাবাঘগুলোও ওই জায়গাগুলোয় ঘুরে বেড়ায়। সেই হিসেবে চিতাবাঘগুলোকে দুই স্তরে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে একটি হল- ভারতের ৪৪টি ব্যাঘ্র সংরক্ষণাগারে থাকা চিতাবাঘ। অপর অংশ হল, সংরক্ষিত বনের বাইরে থাকা চিতাবাঘ।
২০১৮ সালের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারতে ১২,৮৫২টি চিতাবাঘের মধ্যে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে রয়েছে ৫,৩২৫টি চিতাবাঘ। ২০২২ সালে সেটাই ২১% বেড়ে ৬,৪৪০ হয়েছে। 'সর্ব-ভারতীয়' সমীক্ষা অনুযায়ী, যে সব রাজ্যে বাঘ রয়েছে, তার অন্যতম- গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং রাজস্থানের শুষ্ক অঞ্চলে চিতাবাঘের গণনা করা হয়নি।
আরও পড়ুন- ঘুষ নিলে আর রেয়াত নয়! সাংসদ-বিধায়কদের হাতকড়া পরাতে এবার নতুন পথে সুপ্রিম কোর্ট?
এর পাশাপাশি, বিভিন্ন রাজ্যে বিষের প্রভাবে চিতাবাঘের মৃত্যুর খবর এসেছে। পাশাপাশি, বিদ্যুতের তারের জেরেও বহু জায়গায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকটি চিতাবাঘের। কোথাও আবার গ্রামবাসীরা চিতাবাঘ পিটিয়ে হত্যা করেছেন, তেমন ঘটনাও বিরল নয়। তবে, সেই সংখ্যাটা ২,০০০ দশকের তুলনায় কমেছে। ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, গুজরাটের গির ন্যাশনাল পার্কের আশেপাশে এক দশকে ৮৩৪বার বন্য ২৬৩টি চিতাবাঘকে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই চিতাবাঘগুলো সংরক্ষিত এলাকা ছেড়ে আশপাশের লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল।