Right to protest to call for a bandh: রাজনৈতিক দলগুলি কি বন্ধের ডাক দিতে পারে? বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সময়ই দেখা যায় যে বনধ ডেকে বসছে। কিন্তু, অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল যে রাজনৈতিক দলগুলোর এই বনধ ডাকার অধিকার আদৌ আছে কি না।
সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা
অতীতে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার এবং অস্ত্র ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার সকলের রয়েছে। এটা আসলে মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার দেওয়ার শামিল। কিন্তু, তারপরও আদালতকে প্রায়শই জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার 'যৌক্তিক সীমাবদ্ধতার' সঙ্গে প্রতিবাদ করার অধিকারের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। বদলাপুরে নাবালিকাদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শনিবার (২৪ আগস্ট) মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) জোট রাজ্যব্যাপী 'বনধ'-এর ডাক দিয়েছিল। কিন্তু, পরে তারা তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
পিছনে হাইকোর্টের ভূমিকা
এই প্রত্যাহারের কারণ, শুক্রবার বম্বে হাইকোর্ট বলেছে, 'পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত, ২০২৪-এর ২৪ আগস্ট বা তার পরবর্তী অন্য কোনও তারিখে মহারাষ্ট্রে বনধ করা যাবে না।' এই ব্যাপারে আদালত সবপক্ষকেই বনধ পালন করতে নিষেধ করেছে। তারজেরেই বিরোধী এমভিএ রাজ্যব্যাপী নীরব প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশ্ন হল, কেন বন্ধ প্রত্যাহার করল হাইকোর্ট? কেন আদালত অতীতে প্রতিবাদের অধিকারের বৈধ অভিব্যক্তি হিসেবে বনধকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে?
বম্বে হাইকোর্টের ভূমিকা
বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্রকুমার উপাধ্যায় ও বিচারপতি অমিত বোরকারের বেঞ্চ 'স্থানীয় ট্রেন, বাস এবং রাস্তা বন্ধ থাকবে' বলে সংবাদ প্রতিবেদনের পরে অর্থনীতি এবং জনসেবাতে তার প্রভাব ফেলবে, এই ইস্যুকে সামনে রেখেই মহারাষ্ট্রে বনধ পালনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে। আদালত বলেছে যে একটি বনধ, 'সব ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করার আহ্বান জানায়। এটি সমগ্র মহারাষ্ট্রের জীবনকে পঙ্গু করে দিতে পারে।' অতীতের সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের রায়ের উল্লেখ করে, বম্বে হাইকোর্ট জানিয়েছে যে, এই ধরনের বনধ জরুরি পরিষেবা এবং জনসাধারণের সুবিধার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন- কবে এবারের দুর্গাপুজো? কী হবে কোন দিন, দেখে নিন একঝলকে
আইনজীবী যা বলেছেন
হাইকোর্ট আদালতে এমভিএর প্রথম শুনানি না করে এই আদেশটি পাস করার জন্য তার যুক্তিও দিয়েছে। আদালত বলেছে যে, নোটিশ পাঠানো এবং সময়ের স্বল্পতার কারণে সমস্ত পক্ষের শুনানি করা সম্ভব নয়। শুনানির পরদিনই এই বনধ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময়, আইনজীবী গৌতম ভাটিয়া বলেছেন, 'আমার কাছে মনে হচ্ছে যে বন্ধের ডাক দেওয়ার অধিকার ১৯ (১) (এ) (অধিকারের স্বাধীনতার অধিকার) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংবিধানে বক্তৃতা এবং অভিব্যক্তি এবং বন্ধের আহ্বান জনশৃঙ্খলার লঙ্ঘন নয়। আমার মতে, রাজনৈতিক দলগুলোকে মহারাষ্ট্র বনধ ডাকা থেকে বিরত রাখা ঠিক নয়।'