ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ভারতের পেট্রোলিয়াম পণ্য রফতানি গত কয়েক মাস ধরেই অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে ইউরোপের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল রাশিয়া থেকে পরিশোধিত পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। এমন সময়ে আবার রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি ঐতিহাসিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর, এই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন ভারতীয় বেসরকারি তৈল শোধনকারীরাও।
তথ্য কী বলছে?
ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভারতের পেট্রোলিয়াম পণ্য রফতানি এপ্রিল-জানুয়ারিতে বছরে ২০.৪ শতাংশ বেড়ে ১১.৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। মোট ২০টি অঞ্চলটি ভারত থেকে পরিশোধিত পণ্য আমদানি করে। তার মধ্যে দুটি অঞ্চলে রফতানি গত অর্থবছরের এই সময় থেকে অনেকটাই বেড়েছে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ কমার্শিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস (ডিজিসিআইএস) ডেটা বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানিয়েছে। জানুয়ারিতে ভারতের এই পরিশোধিত পণ্য রফতানি বৃদ্ধি পেয়ে ১.৯০ মিলিয়ন টন স্পর্শ করেছে। যা চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভারতের রফতানি বেড়েছে
শুধুমাত্র এপ্রিল থেকে জানুয়ারি, এই সময়ের মধ্যে ভারতের প্রায় ১৫ শতাংশ পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য ইউরোপে রফতানি হয়েছে। যার পরিমাণ ৭৯ মিলিয়ন টন। ভারত যে পরিমাণ পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য রফতানি করে একবছর আগে একই সময়ে তার পরিমাণ ছিল ১২ শতাংশ। এই বৃদ্ধিটা ঘটেছে শুধুমাত্র রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণে। না-হলে, ওই সব পণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকেই সংগ্রহ করত।
আরও পড়ুন- অবাক কাণ্ড! এত নামডাক, তারপরও সোনালি অস্কার ট্রফির দাম মাত্র ১ ডলার?
ভারতের ভূমিকা
পরিসংখ্যান বলছে, রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্য রফতানির নিষেধাজ্ঞা জারির মাত্র চার মাসের মধ্যে ইউরোপে ভারতের পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য রফতানির পরিমাণ ১৬ থেকে বেড়ে ২২ শতাংশ হয়েছে। ভারতের পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য রফতানি বৃদ্ধির প্রবণতা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ, বিশ্বব্যাপী তেল বাজারের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের মত দেশ চাহিদা-সরবরাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করছে। পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের দামের চরম বৃদ্ধি রোধ করছে। ইউক্রেনে হামলার কারণেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে পরিশোধিত জ্বালানি ও পণ্য কিনতে নারাজ। সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সৃষ্টি হওয়া চাহিদা ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনে তা পরিশোধন করে পূরণ করছে।