Advertisment

Election 2024: তড়িঘড়ি ভোট! এত তাড়াতাড়ি ঋষির নির্বাচন করানোর কী দরকার ছিল? প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদেরও

Early election: ২০২৫-এর জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর সরকার চালানোর কথা ছিল। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৪ জুলাই নির্বাচন হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
British Prime Minister and Conservative Party leader Rishi Sunak holds a Q&A with staff of a West William distribution centre, as part of a campaign event ahead of a general election on July 4, in Ilkeston, Britain, May 23, 2024.

নির্বাচনের প্রচারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। (হেনরি নিকোলস/পুল রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত ছবি)

Rishi has called for early elections: মেয়াদ শেষের আগেই নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বুধবার (২২ মে) তিনি নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন। ২০২৫-এর জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর সরকার চালানোর কথা ছিল। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৪ জুলাই নির্বাচন হবে। আচমকা কী হল? প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ভোট এগিয়ে আনার সিদ্ধান্তে এখন এই প্রশ্নই করছেন ব্রিটেনবাসী।

Advertisment

সুনাকের সিদ্ধান্তে হতবাক
সুনাকের এই সিদ্ধান্তে হতবাক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা মনে করছেন, সুনাকের নেতৃত্বাধীন ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সরকার আচমকা নির্বাচনের ঘোষণা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, সুনাকের দল কনজারভেটিভ বা টোরি পার্টির হাল বর্তমানে বেশ খারাপ। বেশিরভাগ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্রিটেনের বর্তমান শাসক দল, বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ে জনসমর্থনের বিচারে অনেকটা পিছিয়ে আছে।

Polling, Booth, পোলিং, বুথ
Polling-Booth: প্রতীকী ছবি (টুইটার)

ব্রিটিশ সংবাদপত্রের বক্তব্য
এমনকী, কনজারভেটিভ পার্টিপন্থী ব্রিটিশ সংবাদপত্র, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ লিখেছে, পরিস্থিতি অনুকূল নয়। তারপরও ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর)-এর দাবি, জুলাইয়ে নির্বাচন করানো ছাড়া উপায় ছিল না। গত কয়েক মাসে তাঁর নেতৃত্বে ব্রিটেনে বেশ কিছু অগ্রগতি ঘটেছে বলেই ঋষি সুনাকের দাবি।

ব্রিটিশ সরকারের আশঙ্কা
সুনাক জানিয়েছেন যে তিনি মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করেছেন। সামান্য হলেও আর্থিক অগ্রগতি ঘটছে। ব্রিটেনে বিভিন্ন দেশ থেকে দলে দলে বাস করতে আসা লোকের সংখ্যা কমেছে। শরণার্থীদের রোয়ান্ডায় পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইনে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে এই সাফল্যগুলোকে হাতিয়ার করতে চায় সুনাকের দল। তবে এত সাফল্যের পরও সুনাকের সরকারের আশঙ্কা, আগামিদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। শরণার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে। তাই নির্বাচনের জন্য শরৎকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে ভুগতে হবে ব্রিটেনের শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টিকে।

আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটে তরুণ মুখেই বাংলায় পুনরুত্থান, ‘শূন্য থেকে নতুন বাম’-এ ভরসা সিপিএমের

আর্থিক কারণে সিদ্ধান্ত
বুধবার, ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস ঘোষণা করেছে যে মুদ্রাস্ফীতি তিন বছরের সর্বনিম্ন ২.৩%-এ নেমে এসেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্য ছিল ২%। ফলে, এই মুদ্রাস্ফীতি কমাটাও লক্ষ্যমাত্রার ওপরেই আছে। তবে, ২০২২ সালের শেষের দিকে ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতি ১১% বৃদ্ধি পেয়েছিল। মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি, সুনাকের জমানায় ব্রিটেনে জিডিপির পরিস্থিতিও উন্নতি করেছে। ব্রিটেনে ২০২৩ সালে মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখানে জিডিপি চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ০.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ভোট হলে এই সাফল্য দেখিয়ে সুবিধা পাওয়া যাবে বলেও মনে করছে কনজারভেটিভ পার্টি।

Britain
Advertisment