scorecardresearch

Explained: শিবসেনার প্রতীক দখলের ইচ্ছা, কিন্তু তা হাতিয়ে নেওয়া শিন্ডের পক্ষে বেশ কঠিন

নির্বাচনী প্রতীক, সেই প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণ- এনিয়ে ১৯৬৮ সালে সালের আইনকে নির্বাচন কমিশন মেনে চলে।

Maharashtra political crisis, anti defection law, what is anti defection law, MVA crisis, Eknath Shinde, Shiv Sena, Maharashtra news, Indian Express
আদৌ কি দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্যাঁচে পড়বেন শিণ্ডেরা?

শিবসেনার প্রতীক দখল করতে চান। কিন্তু, একনাথ সম্ভাজি শিন্ডের পক্ষে তা হাতিয়ে নেওয়া চাট্টিখানি কথা না। বলা যায়, বেশ কঠিন হবে। শিন্ডে এবং শিবসেনার বিদ্রোহীরা যদি দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে বেঁচেও যান, তাঁদের সামনে তৈরি হতে চলেছে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। তা হল, নির্বাচন কমিশনকে বোঝানো যে কে আসল শিবসেনা। দলীয় প্রতীক কে দাবি করবে? মহারাষ্ট্রে ঘনীভূত হওয়া রাজনৈতিক সংকটে এখন এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।

তবে, বালাসাহেবের হাতে তৈরি শিন্ডেও চেষ্টা ছাড়েননি। মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর দাবি, তাঁর পিছনে শিবসেনার সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। যার ওপর ভরসা রেখে তিনি ক্ষমতাসীন মহাবিকাশ আগাড়ি (এমভিএ) জোটকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু, সরকার ফেলে দিলেও আসন শিবসেনার স্বীকৃতি পাওয়া শিন্ডেদের কাছে সহজ হবে না। এই পরিস্থিতিতে শিন্ডে ও শিবসেনার বিদ্রোহীরা দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়লে তৈরি হবে নতুন সমস্যা। নির্বাচন কমিশনকে বোঝানো যে আসল শিবসেনা কে। দলীয় প্রতীক কে দাবি করবে? রাজনৈতিক সংকটে পরিপূর্ণ মহারাষ্ট্রে এখন এটাই আসল প্রশ্ন।

আরও পড়ুন- ব্যবধান ৪৪ বছরের, শিণ্ডের ভূমিকায় ছিলেন পাওয়ার, ফেলেছিলেন সরকার, হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

নির্বাচনী প্রতীক, সেই প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণ- এনিয়ে ১৯৬৮ সালে সালের আইনকে নির্বাচন কমিশন মেনে চলে। আর, সেই আইনের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমিশনের। কমিশন বিবাদমান পক্ষের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনবে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের বক্তব্য শুনবে। সেই বক্তব্যের ভিত্তিতে কমিশন ঠিক করবে, প্রতীক কোন পক্ষের থাকবে। এমনকী, কমিশন এমনটাও মনে করতে পারে যে প্রতীক কোনও পক্ষই পাবে না।’

আর, কমিশন যদি মনে করে যে শিবসেনার প্রতীক উদ্ধব বা শিন্ডে, কারও পক্ষেই থাকবে না, তখন মহারাষ্ট্রে নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। কারণ, শিন্ডেদের বিধায়কপদও তখন নিশ্চিতরূপে খারিজ হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতি তৈরি হোক, সেটা যেমন উদ্ধব ঠাকরেরা চান না। তেমনই শিন্ডেরাও চান না। কারণ, সময়মতো নির্বাচন হলে, তা হতে এখনও প্রায় আড়াই বছর বাকি আছে। নতুন করে ভোট হলে, উদ্ধবের পদবি থেকে তিনি নতুন দল গড়েও অনেকটাই সুবিধা পাবেন। যা আদৌ শিন্ডেরা পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। কারণ, ইতিমধ্যে শিন্ডেদের বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন শিবসেনার সাধারণ কর্মীরা।

Read full story in English

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Explained news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Road to claim sena symbol may not be easy for shinde