দেশে গত ২৪ ঘন্টায় কমেছে করোনা সংক্রমণ। দিল্লি, কলকাতার মতো শহরেও কমতির দিকে এই ভাইরাসের দাপট। ভ্যাকসিন প্রস্তুতি পর্বও রয়েছে তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি দেশবাসীর জন্য করোনা টিকা উপলব্ধ করবে সরকার। সেই আবহে দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর কে শ্রীনাথ রেড্ডির সঙ্গে কথা বলল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দেশের প্রত্যেকের জন্য এই ভ্যাকসিন কতটা জরুরি?
স্বাভাবিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে নিজের থেকেই বিভিন্ন ধাপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তবে সেই ইমিউনিটি কতদিন থাকে সে বিষয়ে কেউ জানে না। তাই ভ্যাকসিনের দরকার রয়েছে সকলের। স্বাভাবিক অনাক্রমনতার থেকে ভ্যাকসিন আরও অনেকটা বেশি সাহায্য করবে। তাই টিকাকরণ খুব ভাল আইডিয়া।
কাদের এই কোভিড ভ্যাকসিন আগে প্রয়োজন?
অবশ্যই যারা স্বাস্থ্যকর্মীরা আছেন। সব দেশেই সেটাই হচ্ছে। কোভিড রোগীদের সামনে সবচেয়ে বেশি এক্সপোজ হচ্ছেন ওঁরা। তাই টিকা সবার আগে ওঁদের দরকার। এরপর সুরক্ষা কর্মী, যারা আপৎকালীন ডিউটি দিচ্ছেন তাঁদের প্রয়োজন। এরপর বয়স্করা রয়েছেন। তাছাড়া যাঁদের হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাঁদেরও আগে প্রয়োজন। কম বয়সিরা এই ভাইরাসকে যুঝে নিতে পারছেন। প্রাথমিকভাবে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া তো সম্ভব নেই। তাই এই বাদ বিচার। প্রয়োজন রয়েছে সকলেরই।
এই বিপুল পরিমান ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত কতটা প্রস্তুত?
এটা বোঝা সম্ভব যখন ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে উপলব্ধ হবে।এই সব ভ্যাকসিন স্টোরেজও খুব সহজ কাজ নয়। সেক্ষেত্রে সাপ্লাই চেইন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ভ্যাকসিন সরবরাহে। ভ্যাকসিনটি দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম মানতে হবে। একবার প্রয়োগের পর ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে আবার ভ্যাকসিন দিতে হবে। আর এটা ইন্ট্রামাসকুলার ভ্যাকসিন। সকলকে ভাল করে প্রশিক্ষণও দিতে হবে।
কারা এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবেন?
আমার মতে সকলের এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া উচিত। এই ভয়ঙ্কর অতিমারী থেকে সকলকে রক্ষা করতে পারে ফ্রি ভ্যাকসিন। যদি কেউ টাকার জন্য এই ভ্যাকসিন নিতে না পারেন এবং এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তা দু:খের।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন