Role of the Lok Sabha Leader of Opposition: এবারের লোকসভায় শাসক জোট আর বিরোধী জোটের আসনের ফারাক খুব একটা বেশি নয়। এই অবস্থায় বিরোধী দলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, লোকসভার বিরোধী দলনেতার ভূমিকা। এবারের বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেস, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৪৪টিতে জিতেছিল। ২০১৯ সালে জিতেছিল ৫২ আসনে।
বর্তমান বিরোধী দলনেতা
এবার নির্বাচনে তারা ২০১৯ সালের আসনের দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৯৯ আসনে জিতেছে। রায়বেরেলির সাংসদ রাহুল গান্ধী এবারের লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা। এই পদ গত ১০ বছর ধরে ফাঁকা ছিল। কারণ কোনও বিরোধী দলেরই সংসদের শক্তির এক দশমাংশের সমান সংখ্যা ছিল না। প্রধান বিরোধী দলনেতার পদে দাবিদার হতে গেলে, এই সংখ্যা থাকা জরুরি।
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা
বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি ২০১৪ সালে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা, সংসদে তাঁর অবস্থান, বিরোধী দলের নেতাদের বেতন, ভাতা- যাবতীয় কিছু সংসদীয় আইন, ১৯৭৭-এ বর্ণিত আছে।
বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতি
এই আইনে বিরোধী দলের নেতাকে, 'রাষ্ট্র পরিষদের সদস্য বা জনগণের সংসদের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি সংসদে হাউসের স্পিকারের দ্বারা স্বীকৃত।' ২০১৭ সালের মে মাসে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে লেখায় লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব পিডিটি আচারি বলেছিলেন, 'স্পিকারকে বিরোধীদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে বৃহত্তম দলের নেতাকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হয়।' আচারি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রধান বিরোধী দল হতে গেলে নির্দিষ্ট সংখ্যার প্রয়োজন হয়।
বিশেষ সুবিধা ভোগ করেন
বিরোধী দলের নেতা, স্পিকারের চেয়ারের বামদিকে সামনের সারিতে বসেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। সংসদের উভয়কক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় বিরোধী দলের নেতাও সামনের সারিতে একটি আসন পাওয়ার অধিকারী। বিরোধী দলের নেতার প্রধান দায়িত্ব হল সংসদে বিরোধী দলের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করা।
আরও পড়ুন- স্পিকার পদের লড়াইয়ে হার! ডেপুটির চেয়ারের জন্য কেন এত মরিয়া বিরোধীরা?
ছায়া মন্ত্রিসভা
২০১২ সালে প্রকাশিত সংসদের একটি সরকারি পুস্তিকা অনুযায়ী, লোকসভার বিরোধী দলের নেতাকে, 'ছায়া মন্ত্রিসভার ছায়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সরকার পদত্যাগ করলে, অথবা সংসদে ভোটাভুটিতে পরাজিত হলে বিরোধী দলনেতা প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে তৈরি থাকেন।'