Advertisment

TN vs India Cement: ২৫ বছর পর! অবশেষে সুপ্রিম হস্তক্ষেপ, রয়্যালটি নিয়ে টানাপোড়েন অবসানের মুখে

SC Constitution Bench: দীর্ঘদিন ধরে বহু মামলার শুনানি হয়নি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশিদিন যে মামলাগুলোর শুনানি হয়নি, সেই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই ৯,০৪৪ দিন ধরে শুনানি না হওয়া মামলাটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Royalty case, Tamilnadu

Royalty case-Tamilnadu: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। (ছবি: প্রেমনাথ পাণ্ডে)

Royalty case in Supreme Court: দীর্ঘদিন ধরে মামলার কোনও শুনানি হয়নি। পিটিশন দাখিল হয়েছিল ৯,০৪৪ দিন আগে। তারপর থেকে মামলাটি শুনানি ছাড়াই পড়েছিল। এত দীর্ঘ সময় ধরে মামলার শুনানি না হওয়া একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। তথ্য বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বহু মামলার শুনানি হয়নি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশিদিন যে মামলাগুলোর শুনানি হয়নি, সেই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই ৯,০৪৪ দিন ধরে শুনানি না হওয়া মামলাটি। এই মামলার বিষয়বস্ত, 'রয়্যালটি' কোনও কর কি না, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। প্রশ্ন হচ্ছে, রয়্যালটি বিষয়টি কী? রয়্যালটি হল সেই পণ্য, যা ব্যবহারের অধিকারের বিনিময়ে পণ্যের মালিককে ফি দিতে হয়।

Advertisment
  • এই মামলার শুনানি ৯,০৪৪ দিন ধরে হয়নি।
  • ১৯৬৩ সালে, ইন্ডিয়া সিমেন্ট লিমিটেডকে তামিলনাড়ু সরকার একটি খনির ইজারা দিয়েছিল।
  • ১৯৮৯ সালে, সাত বিচারপতির একটি বেঞ্চ ইন্ডিয়া সিমেন্টের পক্ষে মামলার রায় দেয়।

১৯৬৩ সালে, ইন্ডিয়া সিমেন্ট লিমিটেডকে তামিলনাড়ু সরকার একটি খনির ইজারা দিয়েছিল। বদলে, এমএমডিআরএর ধারা ৯ মেনে সংস্থাটি রাজ্যকে রয়্যালটি দিচ্ছিল। পরে রয়্যালটি ছাড়াও তামিলনাড়ু সরকার মাদ্রাজ পঞ্চায়েত আইন, ১৯৫৮-এর ধারা ১১৫-এর অধীনে ইন্ডিয়া সিমেন্টের ওপর একটি কর বসায়। এই কর সাধারণ করের সঙ্গেই চাপানো হয়। এই কর অনুযায়ী, সরকারকে ভূমি রাজস্ব হিসেবে দেওয়া প্রতিটি টাকার ওপর (যার মধ্যে রয়্যালটি অন্তর্ভুক্ত ছিল) অতিরিক্ত ৪৫ পয়সাও দিতে হবে। যার অর্থ হল, তামিলনাড়ু সরকার রয়্যালটির ওপরও কর বসিয়েছে।

মাদ্রাজ হাইকোর্ট এরপর তামিলনাড়ু সরকারের কর আইনকে চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। এরপর ১৯৭০ সালে, এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তামিলনাড়ু সরকারের দাবি, রাজ্যের ভূমি-রাজস্ব এবং খনিজ সম্পদের অধিকারের ওপর ভিত্তি করে এই কর বসানো হয়েছে। রাজ্যের অধিকারের তালিকার ভিত্তিতেই বসানো হয়েছে এই কর। এই কর বসানোর অধিকার রাজ্য সরকারের আছে। তামিলনাড়ু সরকার আরও জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত ক্ষেত্রগুলোর ওপর যেমন কেন্দ্রীয় সরকার আইন বানাতে পারে। তেমনই রাজ্য সরকারের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর ওপর রাজ্য সরকারও আইন আনতে পারে বা আইন বানাতে পারে।

১৯৮৯ সালে, সাত বিচারপতির একটি বেঞ্চ ইন্ডিয়া সিমেন্টের পক্ষে মামলার রায় দেয়। তাতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো তালিকা (তালিকা ১)-এর ৫৪ ধারার অধীনে MMDRA-এর দ্বারা প্রণীত আইন অনুসারে, 'খনি ও খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ'-এর ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিক কর্তৃত্ব রয়েছে। তেমনই রাজ্যগুলিরও MMDRA-এর অধীনে রয়্যালটি সংগ্রহের ক্ষমতা আছে। এবাদে খনি এবং খনিজ উন্নয়নের ওপর আর কোনও কর বসতে পারে না।

আরও পড়ুন- ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শাহি দরবারে লাদাখ, কোন বিশেষ কারণে দিতে নারাজ কেন্দ্র?

শুধু তাই নয়, সেই সময় বেঞ্চ বলেছিল যে, রাজ্য সরকারের আর খনিজ সংক্রান্ত বিষয়ে কর ধার্য করার ক্ষমতা নেই। কারণ, সংসদ এই বিষয়ে রাজ্যের আইন প্রণয়নের কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেছে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানিয়েছিল, রয়্যালটি নিজেই একটি কর। তাই তার ওপর কর বসানো যায় না। আর এক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠে এসেছে, রয়্যালটি নিজেই একটি কর কি না। এই বিষয়টিরই মীমাংসা করতে ২৫ বছর পর মামলাটি উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে।

India Constituition of India Supreme Court of India Coal Mine
Advertisment