বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত দিলীপ সিং জুদেও। আজ তাঁর মূর্তি উদ্বোধন করবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। যশপুরে হবে এই মূর্তির উন্মোচন। ১২ ফুটের মূর্তিটি বানিয়েছেন রাম ভি সুতার। তিনিই এর আগে গুজরাটে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্ট্যাচু অফ ইউনিটির মূর্তিটি তৈরি করেছেন। বেঙ্গালুরুতে বানিয়েছেন নাদপ্রভু কেম্পেগৌড়ার স্ট্যাচু অফ প্রসপারিটির মূর্তি। এবার সেই তালিকায় জুড়তে চলেছে দিলীপ সিং জুদেওর মূর্তি। যার মাধ্যমে গেরুয়া শিবির ছত্তিশগড়ে বিজেপি এবং জুদেওদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চালাতে চায়।
কে দিলীপ সিং জুদেও?
যশপুরের রাজবাড়ির ছেলে। ১৯৪৯ সালের ৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর জুদেওদের রাজ্য অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশের রায়গড় জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০০ সালে ছত্তিশগড় তৈরির পর যশপুর নতুন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। দিলীপ সিং জুদেওর বাবা রাজা বিজয়ভূষণ সিংদেও ছিলেন যশপুরের শেষ রাজা। দিলীপ সিং জুদেও ২০০৯ সালে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর থেকে ২০০৯ সালে লোকসভায় সাংসদ পদে নির্বাচিত হন। তার আগে ১৯৯২, ১৯৯৮, ২০০৪ সালে তিনি তিনবার রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় এনডিএ সরকারের বন এবং পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।
আরএসএসের নেতা
তিনি আরএসএস এবং বিশ্বহিন্দু পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। জুদেও ক্যারিশমাটিক নেতা হিসেবে পরিচিত। অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রমে তাঁর অবদানের মাধ্যমে ছত্তিশগড়ের এই নেতা বিজেপির উপস্থিতি দৃঢ় করেন। আদিবাসীদের উন্নয়নে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
আদিবাসী উন্নয়নে সচেষ্ট
তিনি রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আদিবাসীদের উন্নয়নে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছিলেন। হিন্দু মন্দির ও ধর্মস্থানের সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছিলেন। আদিবাসীদের ধর্মান্তরণ রোখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। পাশাপাশি, হিন্দু ধর্মে আদিবাসীদের ঘর ওয়াপসিরও চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের 'ঘর ওয়াপসি' কর্মসূচির তিনিই ছিলেন অন্যতম মাথা।
আরও পড়ুন- বাংলায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা: বিরাট চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন মমতা!
দিলীপ সিং জুদেওয়ের বক্তব্য
তাঁর ভাষায়, 'আমি প্রচণ্ড ঘুরে বেড়ানো মানুষ। বিভিন্ন দেশ মিশনারিরা যে কৌশল নিয়েছে, সেটা আমি জানি। এটা কেবল ধর্মান্তরণ নয়। এটা দেশের প্রকৃতি ও সংস্কৃতিই বদলে দেবে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে ক্রুশ হিন্দু মন্দিরের কাছাকাছি চলে এসেছে। আমরা কি ভ্যাটিকানের কোথাও হনুমান মন্দির তৈরি করতে পারব?'
Read full story in English