গত ২৩ মে থেকে ব্যাংকগুলো ২,০০০ টাকার নোট বিনিময় বা জমা করা শুরু করেছে। কীভাবে এই টাকা জমা দিতে বা বিনিময় করতে হবে, তার কায়দাও বলে দিয়েছে ব্যাংক। তার একসপ্তাহ পরে এখনও পর্যন্ত ৮০,০০০ টাকার ২,০০০ টাকার নোট ব্যাংকে জমা পড়েছে। এখনও হাতে চার মাস। তাই এই পরিমাণটা বিপুল বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, সমান পরিমাণ অর্থ ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহকদের হাতে চলে যাচ্ছে। যাতে ব্যাংকগুলোয় জমা থাকা উদ্বৃত্ত নগদের পরিমাণ কমছে। এই রকম ছবি শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন নোটবন্দির সময়। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া আর তোলার ধূম পড়ে গিয়েছিল।
ব্যাংকগুলো ব্যাপারটাকে কীভাবে দেখছে?
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান দীনেশ খারা বলেছেন যে প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকে তাঁদের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টগুলোয় ১৪,০০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে। আর, ৩,০০০ কোটি টাকা বিনিময় করা হয়েছে। ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায় ২,০০০ টাকার নোট ৩,১০০ কোটি টাকার মত জমা হয়েছে। ব্যাংক সূত্রে খবর, আরবিআই ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ব্যাংকগুলো মোট ৮০,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট পেয়েছে।
হাতে চার মাস
নোট বিনিময়ের জন্য সময়সীমা শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। এখনও হাতে আরও চার মাস বাকি। তার মধ্যেই বাজারে যত ২,০০০ টাকার নোট ছিল, সব ফিরে আসবে বলে মনে করছেন ব্যাংককর্তারা। এই ব্যাপারে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গ্রুপ চিফ ইকোনমিক অ্যাডভাইজার সৌম্যকান্তি ঘোষ বলেন, 'আমাদের ধারণা যে প্রায় ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোর কাছে ফিরে আসবে। ছেঁড়া-ফাটা নোট বাদ দিলে পরিমাণটা দাঁড়াতে পারে ৩ লক্ষ কোটি টাকা।'
আরও পড়ুন- কী এই ইন্টারলকিং সিস্টেম, যার জেরে ঘটে গেল বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনা?
কেয়ার রেটিং সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন থেকে সেপ্টেম্বর, এই সময়ের মধ্যে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করায় বাজারে ১-১.৮ লক্ষ কোটি টাকার চাহিদা তৈরি হবে।