পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুনে এখনও সেকথা বিশ্বাস করতে পারছে না গোটা বিশ্ব। গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত মাত্র একবার পরমাণু বোমা যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছে। তা-ও সেটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তারপর বেশ কয়েক দশক পেরিয়েছে। বহু যুদ্ধ হয়েছে গোটা বিশ্বে। কিন্তু, কোনও যুদ্ধেই পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োগ হয়নি। তবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের জেরে তৈরি বীভত্সতা থেকে গেছে স্মৃতির পাতায়।
বহু দেশই পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়িয়েছে। কিন্তু, তা প্রয়োগের হুমকি একমাত্র উত্তর কোরিয়া ছাড়া আর কেউ দেয়নি। তাই পুতিনের হুমকি বেশ অবাক চোখেই দেখছে বিশ্ববাসী। কিন্তু, আশঙ্কা পুরোপুরি দূরও করতে পারছে না। কারণ, পুতিন যে বাস্তবে ইউক্রেনে এমন নৃশংস হামলা চালাতে পারেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউই। আর, সেই কারণে পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবেন না, এমন নিশ্চয়তাও কোনও বিশেষজ্ঞই দিতে পারছেন না।
ঠিক কী বলেছিলেন পুতিন? রবিবার টেলিভিশনে এক ভাষণ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, 'রুশ সেনার রক্ষা শক্তিকে এক বিশেষ ধাঁচের যুদ্ধে ব্যবহারের নির্দেশ আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং রাশিয়ার স্থলসেনা প্রধানকে দিয়েছি।' 'ঠান্ডা যুদ্ধ' এবং তারও আগে থেকে এই 'রক্ষা শক্তি' শব্দগুলো ব্যবহার করে আসছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। যাদের কাছে পরমাণু অস্ত্রই তাদের সবচেয়ে বড় রক্ষা শক্তি। সেই কারণে, পুতিন ঠিক কী বলতে চাইছেন, তা বুঝতে কারও কোনও অসুবিধা হয়নি। আর, তাতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় বিশ্বজুড়ে।
আরও পড়ুন- মিলিশিয়া গড়তে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংগ্রহ করছেন ইউক্রেনের নাগরিকরা
প্রত্যেক দেশই তাদের নিজেদের ভাষায় পুতিনের এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কড়া বিধিনিষেধও জারি করেছে। ন্যাটোর মহাসচিব জেনারেল জেনস স্টোলটেনবার্গ রুশ প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে মন্তব্য করেছেন। একইসঙ্গে পুতিনের বক্তব্যকে 'ভয়ংকর' বলেও সমালোচনা করেছেন। আর, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর মনে করছে, পুতিন শুধু অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাই বলেননি। তিনি গোটা ব্যাপারটাকেই আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
Read story in English