Advertisment

Explained: ইউক্রেনের সঙ্গে লড়াইয়ে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে রুশ সেনা, কিন্ত কেন?

বর্তমান যা পরিস্থিতি রুশ সেনাকে আরও পিছু হঠতে হতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
putin

ইউক্রেন সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাত থেকে বেড়িয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের একের পর এক অঞ্চল। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়ার একের পর এক সামরিক ট্যাংক। বাধ্য হয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে রুশ প্রশাসন। এই ঘটনায় রাশিয়ার প্রশাসন রীতিমতো চিন্তিত। সেনাবাহিনী যুদ্ধক্লান্ত। আর, রুশ সেনাবাহিনীর শীর্ষস্তরেও শুরু হয়েছে কোন্দল। এমনকী, পুতিনের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

Advertisment

উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণে পতন
রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে। যার জেরে লিম্যান শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া। খারকিভ অঞ্চলেও ইউক্রেনের সেনা এগিয়ে গিয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। শুধু উত্তর-পূর্ব এলাকাই নয়। দক্ষিণ ইউক্রেনেও এগিয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের সেনা। একের পর এক এলাকা হাতছাড়া হয়েছে রাশিয়ার সেনার। রুশ সেনার একের পর এক ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে। বহু রুশ সেনা মারা গিয়েছে। ডিনিপার নদী সংলগ্ন অঞ্চল থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে রুশ সেনা।

রুশ সেনা আরও বিপাকে
সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিলিপস পি ও'ব্রায়েন জানিয়েছেন, বর্তমান যা পরিস্থিতি রুশ সেনাকে আরও পিছু হঠতে হতে পারে। খেরসন অঞ্চলে রুশ সেনা পিছিয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়াও
রাশিয়ার হাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। রুশ সেনা যেন একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর সরবরাহ করা অস্ত্র অনেক বেশি কার্যকরী। আর, রাশিয়ার অস্ত্র অনেক পুরোনো। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার হাতে যথেষ্ট ড্রোনও নেই। পালটা, ইউক্রেনের সেনা ড্রোনের মাধ্যমে একের পর এক হামলায় রাশিয়ার ওপর অনেক বেশি আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন- ঘোষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার, পেলেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী

কমান্ডের দুর্বলতা
শুধু তাই নয়, রাশিয়ার সেনার গোয়েন্দাবাহিনীর দেওয়া তথ্য কার্যকরী করতে অনেক সময় লাগছে। তার জন্য ওপর থেকে নির্দেশ নিতে হচ্ছে। কিন্তু, ইউক্রেনের সেনা স্থানীয় কমান্ডই সমস্ত ঠিক করছে। তারাই সিদ্ধান্ত করছে হামলা চালানো উচিত কি না। অন্যদিকে রুশ সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তারা যখন নির্দেশ দিচ্ছেন, ততক্ষণে দেখা যাচ্ছে যে লক্ষ্যবস্তু তার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইরানের থেকে নেওয়া রুশ সেনার ড্রোনও যথেষ্ট কম ক্ষমতাসম্পন্ন। যার ফলে ভুগতে হচ্ছে রুশ সেনাকে।

Read full story in English

Vladimir Putin Ukraine Russia-Ukraine Conflict
Advertisment