ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে রাশিয়াকে সাসপেন্ড করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা। একই পথ নিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা উয়েফাও। এর ফলে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না রাশিয়া। আর, ইউরোপীয় কাপে খেলতে পারবে না রাশিয়ার দলগুলো। ফিফার এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে।
কারণ, চলতি বছরেরই শেষদিকেই কাতারে বসবে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। একইসঙ্গে ব্যাপক প্রভাব পড়বে উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপেও। কারণ, রাশিয়ার সংস্থা গ্যাজপ্রমের সঙ্গে উয়েফার চুক্তি আছে। উয়েফার অন্যতম প্রধান স্পনসরও গ্যাজপ্রম। তারপরও ফিফাকে অনুসরণ করেই রুশ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা, 'ফুটবল ইউনিয়ন অফ রাশিয়া' (আরএফইউ)- কে সাসপেন্ড করেছে উয়েফা। যাতে আরএফইউ-এর পাশাপাশি স্পনসর হারানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে উয়েফা নিজেও।
আগামী ২৪ মার্চ, বিশ্বকাপ ফুটবলে পোল্যান্ডের সঙ্গে প্লে অফ সেমিফাইনাল ম্যাচ ছিল রাশিয়ার। উয়েফার ইউরোপা লিগে আবার খেলার কথা ছিল রাশিয়ার দল স্পার্টাক মস্কোর। কিন্তু, ইউক্রেনে হামলার জেরে বিশ্ব ক্রীড়ার মঞ্চ থেকে ক্রমশই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে রাশিয়া। সাসপেনশনের জেরে, রাশিয়ার জাতীয় দল বা ক্লাব, কারও স্বীকৃত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আর সুযোগ থাকল না।
কাতার বিশ্বকাপ ২১ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা। দিনকয়েকের হিসেব বাদ দিলে এখনও হাতে আছে নয় মাস। সোমবার রুশ ফুটবল সংস্থাকে ফিফা সাসপেন্ড করার আগে পর্যন্ত ঠিক ছিল, ২৪ মার্চের ম্যাচেই ঠিক হবে, প্লে অফের ফাইনালে কারা খেলবে। প্লে অফের অপর সেমিফাইনাল হওয়ার কথা চেক রিপাবলিক এবং সুইডেনের মধ্যে।
রাশিয়া বিশ্ব ফুটবল থেকে সাসপেন্ড হওয়ায় কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার আকর্ষণ স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা হলেও কমবে। স্পনসরও হারাবে ফিফা। কিন্তু, ফিফার আবার কোনও উপায় ছিল না। কারণ, রাশিয়া খেললে অনেক দেশের জাতীয় দলই বিশ্বকাপ খেলতে চাইছিল না। রাশিয়া বাদে অন্যান্য দেশের স্পনসররাও ফিফাকে চাপ দিচ্ছিল, কোনও একটা দিক বেছে নিতে। মানে, হয় রাশিয়ার সংস্থা থাকবে। নয়তো তারা। বাধ্য হয়েই রাশিয়ার জাতীয় ফুটবল সংস্থাকে সাসপেন্ড করেছে ফিফা।
Read story in English