SC declined to entertain BJP plea: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত নিশানা করে নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যেন তেন প্রকারেণ বাংলায় বিজেপির অস্তিত্ব বাড়াতে হবে। এই এজেন্ডা কার্যকর করতে কেন্দ্রের শাসক দল আর কেন্দ্রীয় সরকার যেন হাতে হাত মিলিয়ে নিয়েছে। চলছিল ভালোই। কিন্তু, তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে এল বড় ধাক্কা।
যেভাবে ধাক্কা এল
কলকাতা হাইকোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি অবমাননাকর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারবে না। হাইকোর্টের সেই রায়ের পরও পিছু হঠতে নারাজ ছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। সোমবার শ্র২৭ মে) সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, 'বিজ্ঞাপনগুলো অপমানজনক। আমরা হস্তক্ষেপ করতে (হাইকোর্টের নির্দেশে) নারাজ।'
আদালত যা জানিয়েছে
বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের অবকাশকালীন বেঞ্চ বলেছে, 'আপনি নিজেকে বলতেই পারেন যে আপনি সেরা। কিন্তু, আমরা আরও ক্ষোভের প্রচার করতে দিতে চাই না। এতে ভোটারদের কোনও স্বার্থ নেই। বরং এতে অধঃপতন হবে। আপনারা ইস্যুটাতে প্ররোচনা দেবেন না।' এসব শুনে বিজেপির আইনজীবী আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। আদালত অবশ্য বিজেপিকে হাইকোর্টের একক বিচারকের বেঞ্চে জবাব দাখিলের অনুমতি দিয়েছে।
হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চে বিজ্ঞাপন মামলা
গত ২০মে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৈরি বিজেপির কিছু বিজ্ঞাপনের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আদালত বলেছিল, 'এই সব বিজ্ঞাপন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে। এগুলো সম্পূর্ণ অবমাননাকর। স্রেফ প্রতিদ্বন্দ্বীদের অপমান করার জন্য বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি হয়েছে।'
হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে বিজ্ঞাপন মামলা
বিজেপির অভিযোগ, এই নিষেধাজ্ঞা যে কোনও ধরনের গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করেছে। সেই কারণে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু, গত ২২ মে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও বিজেপির আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- কুর্সিতে দু’বছরে তিন মুখ, ‘৯৬ বুঝিয়েছিল ভারতে মন্ত্রণাদাতা, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কম নেই!
তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান এবং আদর্শ আচরণবিধি
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সামনে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, এই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে যে- 'তৃণমূল কংগ্রেস সনাতন বিরোধী'। ধর্ম, বর্ণর কথা বারবার বিজ্ঞাপনে রাখা হয়েছে। যা আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছে। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন গত ২৮ মার্চ প্রকাশিত আদর্শ আচরণবিধিতে বলেছে, 'অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করতে হলে, তাদের নীতি-কর্মসূচি, অতীতের খতিয়ান এবং কাজের বিরুদ্ধে করতে হবে। অন্যান্য দল বা তাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ বা সমালোচনা করা যাবে না।'