সন্ত্রাস বিরোধী আইন, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনে (ইউএপিএ) উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারের প্রায় দুই বছর পর, র্যাডিক্যাল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক কেরলের সিদ্দিক কাপ্পানকে ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেয়। কিন্তু, জামিন পেলেও এখনও জেলবন্দি অবস্থাতেই কাটাতে হচ্ছে কাপ্পানকে। ডিরেক্টরেট অফ এনফোর্সমেন্ট (ইডি)-র দায়ের করা একটি অর্থপাচার মামলায় কাপ্পানকে কারাগারেই রাখা হয়েছে।
মুক্তির নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট সাংবাদিক কাপ্পানকে জামিন দেওয়ার পরে, লখনউয়ের একটি আদালত ইউপি পুলিশের দায়ের করা মামলায় কাপ্পানকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২০ সালের অক্টোবরে হাতরাসে যাওয়ার সময় ইউপি পুলিশ তাঁকে অন্য তিন জনের সঙ্গে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় একজন দলিত মহিলার ধর্ষণের পরে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত ছিল হাতরাস।
গ্রেফতার ও জামিন
হাতরাসে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আইন ভেঙে কাপ্পানরা হাতরাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ অশান্তি সৃষ্টি, বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টা-সহ বিভিন্ন অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁর মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার সময় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (এএসজে) অনুরোধ মিশ্র, ১ লক্ষ টাকার দুটি বন্ডে এবং সমপরিমাণ ব্যক্তিগত বন্ডে কাপ্পানকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ইডির মামলার জন্য কাপ্পান মুক্তি পাননি।
কারা দফতরের বক্তব্য
এই ব্যাপারে কারা দফতরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক তথা ডিজি সন্তোষ ভার্মা সাংবাদিকদের বলেছেন, 'কাপ্পান কারাগারেই থাকবেন। কারণ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তাধীন একটি মামলায় তিনি এখনও বিচারাধীন রয়েছেন।' আইন অনুযায়ী, আসামীকে তাঁর বিরুদ্ধে নথিবদ্ধ সমস্ত মামলায় জামিন পেতে হবে। তার পরই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা? প্রশ্নই নেই, ভোটের দামামা বাজিয়ে সোজাসাপটা শাহ
ইডির অভিযোগ
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গ্রেফতারের পরে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলায় তদন্ত শুরু করে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই মামলায় কাপ্পান এবং পিএফআইয়ের চার পদাধিকারীর বিরুদ্ধে ইডি একটি অভিযোগপত্র দায়ের করে। যেখানে ইডি অভিযোগ করে যে ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিএফআই) এর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কেএ রউফ শেরিফ আরব দুনিয়ার পিএফআই সদস্যদের থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি হাওয়ালার মাধ্যমে সেই টাকা ভারতে পাঠিয়েছেন। কাপ্পানও তাতে সাহায্য করেছেন।
Read full story in English