আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের দুটি অভিযোগের তদন্ত করছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)। এই দুটো অভিযোগ হল: ক) আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর মালিকানা রয়েছে ১২ বিদেশির হাতে। ওই বিদেশিরা কোম্পানিগুলোর অংশীদার। খ) ছোট বিক্রেতারা গত বছরের ১৮-৩১ জানুয়ারি বা হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের সময়কালে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের মালিকানা ছাড়াই সেগুলো বিক্রি করেছে।
ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গঠিত অভিযোগের তদন্ত কোনও একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে দিতে চায়নি শীর্ষ আদালত। বদলে, বাজার নিয়ন্ত্রক সেবিকেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আর, এই তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে বলেছে। সেবি গত আগস্টেই সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল যে তারা ১২টি বিদেশি বিনিয়োগকারীর (এফপিআইএস) অর্থনৈতিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিশদ তথ্য সংগ্রহ করেছে। আদানিদের সংস্থাগুলো সিকিউরিটিজ কন্ট্রাক্ট (রেগুলেশন) অ্যাক্টের ১৯এ ধারা লঙ্ঘন করেছে কি না, তা জানতেই সেবি তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন- ২০২৪ কি লিপ ইয়ার? কেন প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার হয় না?
তিন মাসের সময়সীমা
অভিযুক্ত ১৩টি বিদেশি সংস্থা (যার মধ্যে রয়েছে ১২টি এফপিআইএস এবং একটি বিদেশি সংস্থা) সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেবি। একইসঙ্গে জানিয়েছে, বিদেশের পাঁচটি জায়গা থেকে আরও তথ্য আনা দরকার। একইসঙ্গে সেবি জানিয়েছে যে, বিনা মালিকানায় আদানি গ্রুপের শেয়ার বিক্রি হয়েছে কি না, তা জানতেও বিভিন্ন জায়গা থেকে নথি আনা প্রয়োজন। সেবির এই সব বক্তব্যের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, অনন্তকাল তদন্ত চলতে পারে না। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন- জাপানে ভূমিকম্পের পরই বারবার জারি হচ্ছে সুনামি সতর্কতা, কেন দ্বীপদেশেই আছড়ে পড়ে সুনামি?
নিয়ন্ত্রকের ব্যর্থতা জানতেও তদন্ত
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের ২ মার্চ, আদানি গ্রুপ বা তাদের কোম্পানিগুলোর সিকিউরিটিজ মার্কেট সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রকের ব্যর্থতা ছিল কি না, তা জানতে ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে আলাদাভাবে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে ন্যূনতম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত করতে বলেছে।