SC has said that people have a right against climate change impacts: সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে জনগণের, 'জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার অধিকার' রয়েছে। এই অধিকার সংবিধানের ১৪ এবং ২১ অনুচ্ছেদ দ্বারা স্বীকৃত হওয়া উচিত। রায়ে এমনটাই জানিয়েছে ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের তিন সদস্যের বেঞ্চ।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবাধিকার হরণ
বিপন্ন গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড (জিআইবি) সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালত এই রায় দিয়েছে। শনিবার এই রায় সামনে এসেছে। বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবাধিকারের হরণ সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বেশি করে নজরে পড়েছে। এই ব্যাপারে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাজ্যগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জোর দিতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পরিবেশ সংরক্ষণের আবেদন
বিলুপ্তির পথে থাকা জলাভূমি সংরক্ষণ এবং পরিবেশের সুরক্ষা চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক ও পরিবেশ সংরক্ষণবাদী এমকে রঞ্জিত সিং। তাঁর দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনে তিনি জলাজমির সুরক্ষা, পাখিদের আনাগোনা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা চেয়েছেন। পরিবেশ নষ্টকারী বিভিন্ন প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদনও জানিয়েছেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট, রাজস্থান এবং গুজরাটের ৯৯ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ওভারহেড ট্রান্সমিশন লাইন বসানোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
আরও পড়ুন- নিজেদের সরকারের পুষ্ট করা আইনে নিজেরাই ফেঁসে গিয়েছে কংগ্রেস! হাত কামড়াচ্ছেন অন্যরাও
আদেশ সংশোধনের আবেদন
বিদ্যুৎ মন্ত্রক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক- নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক ২০২১ সালের আদেশটি সংশোধন করার আবেদন করেছিল। কারণ, ওই আদেশ দেশের বিদ্যুৎ শক্তির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। কারণ, ওই অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইন তৈরি সম্ভব ছিল না। তাই ওভারহেড ট্রান্সমিশন লাইন বসানো ছাড়া উপায়ও ছিল না। পাশাপাশি, মন্ত্রকগুলো তাদের আবেদনে প্যারিস চুক্তির উল্লেখ করেছিল। এই চুক্তিতে অজীবাশ্ম জ্বালানি শক্তির ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জবাবে, সুপ্রিম কোর্ট ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইনের সম্ভাব্যতা মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়েছে।