ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ মঙ্গলবার সমকামী বিয়ের আইনি স্বীকৃতি চেয়ে আবেদনের শুনানি শুরু করেছে। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছেন, আইন তৈরি সংসদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। তাই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। পালটা আদালত জানিয়েছে, বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে এই আবেদনের বিচার হবে। কারণ, নারী ও পুরুষের কোনও পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা নেই।
'সিভিল ইউনিয়ন' কী!
'সিভিল ইউনিয়ন'-এর অর্থ হল আইনগত মর্যাদা। এই আইনি মর্যাদা সমকামী দম্পতিকে আইনি অধিকার, দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেবে। যেরকম মর্যাদা বা অধিকার বিষমকামী দম্পতিরা পেয়ে থাকেন, তেমনটা। সিভিল ইউনিয়নের সঙ্গে কর্মসংস্থান, উত্তরাধিকার, সম্পত্তি, পিতা-মাতার অধিকার- এই সব বিষয়গুলোও জড়িত।
'সিভিল ইউনিয়ন' আর বিয়ের পার্থক্য
সিভিল ইউনিয়ন এবং বিয়ের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য হল যে সিভিল ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট রাজ্যে স্বীকৃত। অন্য রাজ্যে তার স্বীকৃতি নেই। অর্থাৎ সমগ্র রাষ্ট্রে তা গৃহীত নয়। আর, বিয়ে রাজ্য তো বটেই গোটা রাষ্ট্রে স্বীকৃত।
সিভিল ইউনিয়নকে অন্য দেশগুলো কি মেনে নেয়?
আমেরিকা সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০০৯ সালে সুইডেন সমকামী বিবাহকে বৈধ করেছিল। তার আগে সেখানে সমকামী দম্পতিরা সিভিল ইউনিয়নের সাহায্য নিত। দত্তক নেওয়ার অধিকারের মত সুবিধাও ভোগ করত। একইভাবে ১৯৯৩ সাল থেকে নরওয়ের দম্পতিরা অধিকার ভোগ করতে সিভিল ইউনিয়নের সাহায্য নিয়েছে। যার ভিত্তিতে ১৫ বছর পর নতুন আইন তৈরি হয়েছে। সেই আইন নরওয়ের সমকামী দম্পতিদের বিয়ের অধিকার দিয়েছে। দত্তক নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। কৃত্রিম গর্ভধারণের অধিকারও দিয়েছে।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসংঘ বলছে ভারতের জনসংখ্যা চিনকেও ছাড়িয়েছে, কিন্তু আদৌ কি ভারতে জনগণনা হয়েছে?
অস্ট্রিয়াতেও একইভাবে সমকামী দম্পতিরা বেশ কয়েকবছর সিভিল ইউনিয়নের সাহায্য নিয়েছে। একইভাবে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, আন্ডোরা এবং চিলির মতো দেশগুলোও তাদের বিবাহের আইনি অধিকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আগে সমকামী দম্পতিদের নাগরিক ইউনিয়নে প্রবেশের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।