Advertisment

Supreme Court: ঘুষ নিলে আর রেয়াত নয়! সাংসদ-বিধায়কদের হাতকড়া পরাতে এবার নতুন পথে সুপ্রিম কোর্ট?

Supreme court bench: বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি আবদুল নাজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ২০১৯ সালে মামলাটির শুনানি করে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
New Parliament Building, Old Parliament Building

New Parliament Building-Old Parliament Building: ২০১২ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) বিধায়ক সীতা সোরেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। (এক্সপ্রেস ছবি রেনুকা পুরী)

Bribes for votes: সংসদ বা বিধানসভায় ঘুষ নিয়ে ভোট দিলে, তা কি ফৌজদারি মামলার আওতায় আসবে? সেনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট। সংবিধানের ১৯৪ (২) ধারা অনুযায়ী, 'বিধানসভা বা বিধানসভার কোনও কমিটিতে ভোটদান এবং কোনও বক্তব্য রাখার জন্য কোনও বিধায়ক আদালতের আওতায় পড়বেন না। পাশাপাশি, বিধানসভায় কোনও কিছু প্রকাশ করা, ছাপানো, অথবা বিধানসভার দ্বারা ছাপানো কোনও কিছুর জন্য কিংবা কোনও রিপোর্ট, কোনও কাগজ, কোনও ভোট, কার্যকলাপের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আদালতের আওতায় পড়বেন না।'

Advertisment

নতুন করে বিবেচনা

সংবিধানের ১০৫ (২) ধারা এভাবে সংসদদেরও ব্যক্তিগত সুরক্ষা দিয়েছে। ১৯৯৮ সালে, পিভি নরসিমহা রাও বনাম ভারত সরকার (সিবিআই/এসপিই) মামলায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই আইনকে ব্যাখ্যা করেছিল। সেই সময় আদালত বলেছিল, সাংসদ ও বিধায়করা তাঁদের বক্তৃতা এবং ভোটের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যাপারে ঘুষের জন্য ফৌজদারি মামলার আওতায় পড়বেন না। এবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ সেই রায় বাতিল করা উচিত কি না, তা বিবেচনা করবে। এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দুই দিন ধরে এনিয়ে শুনানিও হয়েছে।

আদালত কেন এই রায় পুনর্বিবেচনা করছে?

২০১২ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) বিধায়ক সীতা সোরেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৪ সালে, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা সিবিআইয়ের মামলা খারিজ করতে রাজি হয়নি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সেই বছর সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। সেই সময় বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি আবদুল নাজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ২০১৯ সালে মামলাটির শুনানি করে। আদালত দেখতে পায় যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলায় তিন বিচারপতি জনপ্রতিনিধিদের সুরক্ষার পক্ষে আর দুই বিচারপতি জনপ্রতিনিধির সুরক্ষার পক্ষে রায় দিয়েছিল। সেই কারণে, আদালত এই মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠায়।

আরও পড়ুন- লক্ষ্যটা বিরাট! প্রকাশ্যে আনতে নারাজ ভারত-মরিশাস, উদ্বোধন এয়ারস্ট্রিপ, জেটির

বৃহত্তর বেঞ্চে মামলা

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল। আর, মামলাটি সাত বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে, ধারা ১৯৪(২) এবং ১০৫(২) এর উদ্দেশ্য, বিধায়কদের প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই ভোট দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান। তাঁদের ফৌজদারি আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘন থেকে রক্ষা করা এই আইনের উদ্দেশ্য নয়। নরসিমহা মামলায় বিচারপতি এসসি আগরওয়াল তাঁর নোটে বলেছিলেন, ঘুষখোরদের রক্ষা করা এই আইনের উদ্দেশ্য নয়। বরং, ঘুষের বিরুদ্ধে কাজ করাই আইনের উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, বেঞ্চ মনে করছে যে এটি ঘুষের অপরাধ কি না, তা বিবেচনা করা দরকার।

MLA Supreme Court of India loksabha election 2024
Advertisment