আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা মাথায় রেখে বৃহত্তর নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন কি না, তা মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আদালত জানিয়েছে, এই কমিটির কাজ হবে, নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করা এবং আদানি ইস্যু নিয়ে তদন্তে পরামর্শ দেওয়া।
আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে আদানি গ্রুপ প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, 'সত্যের জয় হবেই'। পাশাপাশি, যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে শেয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)-কে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট দাখিলের জন্য দেওয়া হয়েছে দুই মাস সময়।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, শীর্ষ আদালত মুখবন্ধ খামে কেন্দ্রের দেওয়া বাছাই করা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি প্যানেল তৈরির প্রস্তাব গ্রহণ করতে চায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার আদালতকে বলেছিল, নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর নজর রাখার জন্য কোনও প্যানেল থাকলে, তার জেরে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা নিয়েই সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হবে। এক্ষেত্রে দেশে অর্থের আগমন বা বিনিয়োগের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে কেন্দ্র বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হলে, তার সদস্য কারা হবেন, সেই নাম সংক্রান্ত প্রস্তাব মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দিতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন- ‘কংগ্রেস আজ বিজেপির কাছে কৃতজ্ঞ’, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন মমতা
এই পরিস্থিতিতে SEBI আবার শীর্ষ আদালতে দাখিল করা তার নোটে ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা শেয়ার বেচাকেনার বিরুদ্ধে নয়। একইসঙ্গে অবশ্য তারা জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে। পাশাপাশি, শেয়ারের দামের গতিবিধি নিয়েও তারা তদন্ত করছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো তৈরি ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির মাথায় রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এএম সাপ্রে। এছাড়া কমিটিতে আছেন ওপি ভাট, বিচারপতি জেপি দেবধর, নন্দন নিলাকেনি, কেভি কামাথ এবং সোমশেখরন সুন্দরেসান।