SC rejects demand for 100% verification of VVPAT slips: সুপ্রিম কোর্ট, ১০০ শতাংশ ভেরিফাইড পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপিএটি/ভিভিপ্যাট) স্লিগ যাচাইয়ের দাবি খারিজ করেছে। ভিভিপ্যাট মেশিন, ইভিএমের ব্যালট ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ভিভিপ্যাটের স্লিপ, ভোটার কাকে ভোট দিয়েছেন, তা ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করে। ইতিমধ্যেই বারবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। ভোটার এক জায়গায় ভোট দিচ্ছেন, ভোট পড়ছে অন্য জায়গায়। এমন অভিযোগ বারবার করে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ভিভিপ্যাট স্লিগ যাচাইয়ের দাবি জোরদার হয়েছে। ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিগ যাচাইয়ের দাবি উঠেছে।
ব্যালটে ভোটের দাবিও খারিজ
নির্বাচন কমিশন সেই দাবি আগেই খারিজ করে জানিয়েছিল যে তা সম্ভব নয়। এবার, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টও সেই একই কথা জানাল। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পর ভোটের সম্পূর্ণ ক্রস-ভেরিফিকেশনের যাবতীয় পিটিশন বিচারপতিরা খারিজ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচনে আগের মত ব্যালট পেপার পদ্ধতি চালুর আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছে। এই দাবি করেছিল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) মত বিরোধী দলগুলো।
মামলাটা কী ছিল?
২০২৩ সালের মার্চে, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) নামে একটি নাগরিক সংগঠন শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিল। সেই পিটিশনে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের ট্যালি (অর্থাৎ, প্রদত্ত ভোট সঠিক জায়গায় পড়েছে কি না) তা মিলিয়ে দেখার আবেদনও জানিয়েছিল সংগঠনটি। একইসঙ্গে, এডিআর ভিভিপ্যাট স্লিপগুলোতে বারকোড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল। গোটা প্রক্রিয়াটি যাতে দ্রুত সম্পাদন করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও আবেদন জানিয়েছিল। শুক্রবার, এই সব আবেদনগুলো খারিজ করার সময় বিচারপতি খান্না বলেছেন, 'এই সবগুলোর মধ্যে একটাই পরামর্শ, যা নির্বাচন কমিশন পরীক্ষা করে দেখতে পারে, তা হ'ল কাগজের স্লিপ গণনার জন্য কোনও ইলেকট্রনিক মেশিন রাখা যায় কি না। প্রতিটি দলের বা প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীকের সঙ্গে একটি বারকোড ব্যবহার করা যায় কি না!'
আরও পড়ুন- জাতপাতের সংরক্ষণের সঙ্গে সরকারি সম্পদ বণ্টনকে যুক্ত করতে চান রাহুল, বাধা কংগ্রেস নেতারাই?
একটা ভিভিপ্যাট মেশিন কী, তা কীভাবে কাজ করে?
ভিভিপিএটি বা ভিভিপ্যাট মেশিনটি ইভিএমের ব্যালট ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট, কাগজের স্লিপে মুদ্রিত আকারে ভোটারকে সঠিক জায়গায় ভোটদান যাচাইয়ে সাহায্য করে। প্রার্থীর ক্রমিক নম্বর, নাম এবং দলীয় প্রতীক সম্বলিত কাগজের এই স্লিপটি একটি কাঁচের জানালার পিছনে মেশিনে দেখা যায়। ভোটারকে তাঁর ভোট যাচাই করতে সাত সেকেন্ড সময় দেয়। এরপর, স্লিপটি নীচে ওই মেশিনের নীচে এসে জমা হয়। কোনও ভোটার বাড়িতে ভিভিপ্যাট স্লিপ নিয়ে যেতে পারবেন না। কারণ, এই স্লিপ পরে পাঁচটি যে কোনও নির্বাচিত ভোটকেন্দ্রে দেওয়া ভোট যাচাইয়ের কাজে লাগে। বিশ্বাস করে নেওয়া হয় যে, ওই পাঁচটি কেন্দ্রে যদি ইভিএম আর ভিভিপ্যাটের ফলাফলে কোনও পার্থক্য না থাকে, তবে বাকি কেন্দ্রগুলোর ফলাফলের ক্ষেত্রেও পার্থক্য নেই।