Advertisment

Failure to follow procedure: বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধের নামে নিজেই কাঠগড়ায় দিল্লি পুলিশ-কেন্দ্র, শোধরানোর চেষ্টা আদালতের

Prabir Purkayastha: পুরকায়স্থকে ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর, সকাল ৬টা ৩০ নাগাদ দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল গ্রেফতার করেছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Prabir Purkayastha, Narendra Modi, প্রবীর পুরকায়স্থ, নরেন্দ্র মোদী,

Prabir Purkayastha-Narendra Modi: নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল। (ছবি- ইউটিউব ভিডিওগ্র্যাব/নিউজক্লিক, টুইটার)

SC said Newsclick founder’s arrest was illegal: সংবাদ সংস্থা নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের গ্রেফতারিকে বেআইনি বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কারণ, তাঁর গ্রেফতারির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। গ্রেফতারির ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি মানতে হবে। স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রেও নিয়মটা একই। এই কথা বুঝিয়ে, বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বুধবার, ১৫ মে প্রবীর পুরকায়স্থকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisment

দিল্লি পুলিশের অভিযোগ এবং ব্যর্থতা

দিল্লি পুলিশ পুরকায়স্থকে হেফাজতে নেওয়ার আগে তাঁর গ্রেফতারের কারণ জানাতে পারেনি। ওই সংবাদ সংস্থার সম্পাদককে একটি সন্ত্রাসবাদী মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুরকায়স্থকে ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর, সকাল ৬টা ৩০ নাগাদ দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল গ্রেফতার করেছিল। বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, নিউজক্লিক চীনপন্থী প্রচারের জন্য অর্থ পেয়েছে।

প্রবীর পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে ধারা

প্রবীর পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ইউএপিএ-র ধারা ১৩ (বেআইনি কার্যকলাপ), ১৬ (সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ), ১৭ (সন্ত্রাসবাদী কাজের জন্য অর্থ সংগ্রহ), ১৮ (ষড়যন্ত্র), এবং ২২(সি) (কোম্পানি, ট্রাস্টের মাধ্যমে অপরাধ) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি/IPC) ধারা ১৫৩এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র)-য় অভিযুক্ত।

পরে জানানো হয় আইনজীবীদের

পুরকায়স্থের অভিযোগ হল, ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর, কোনও পূর্ব নোটিশ ছাড়াই, তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য বিশেষ বিচারকের বাসভবনে সকাল ৬টা ৩০-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুরকায়স্থের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে তাঁদের মক্কেলের পীড়াপীড়িতে, সকাল ৭টার দিকে একটি ফোন করে তাঁদেরকে জানানো হয়েছিল যে পুরকায়স্থকে বিচারকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- অল্পসময়েই বিরাট বদল! তাঁর শাসনকালের বদলানো গতিপথে আজও চলছে ভারতীয় রাজনীতি

আদালতে পুরকায়স্থর অভিযোগ

দিল্লি হাইকোর্টের সামনে আবেদনে, পুরকায়স্থ বলেছেন যে রিমান্ড আবেদনের একটি স্বাক্ষরবিহীন অনুলিপি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর আইনজীবীদের কাছে পাঠানো হয়েছিল, গ্রেফতারের সময় বা কারণ উল্লেখ না করেই। শুধু তাই নয়, সকাল ৮টার আগে রিমান্ডে আপত্তি জানানো হলেও, পুরকায়স্থের আইনজীবীদের বলা হয়েছিল যে রিমান্ডের আদেশ ইতিমধ্যেই পাস হয়েছে। সাত দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে, অফিসিয়াল রেকর্ডে দেখা গেছে, রিমান্ডের আদেশ সকাল ৬টায় স্বাক্ষর করা হয়েছিল। তখনও পুরকায়স্থকে বিচারকের সামনে হাজিরই করা হয়নি। আর, তাঁর আইনজীবীদেরও আদালতের পেশের খবর জানানো হয়নি। এমনকী মামলার এফআইআরও তাঁকে গ্রেফতারির কয়েকদিন পর প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল।

UAPA Arrest supreme court police
Advertisment