SEBI accused Hindenburg of breaking Indian law: ভারতীয় আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে হিন্ডেনবার্গকে অভিযুক্ত করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)। যদিও হিন্ডেনবার্গ সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ 'বাজে কথা'। আদানি সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা হিন্ডেনবার্গের বিস্ফোরক রিপোর্টের দেড় বছর পরে, ওই মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ আনল সেবি। প্রতিক্রিয়ায় হিন্ডেনবার্গ জানিয়েছে, সেবি তাদের থামাতে চায় এবং দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করতে চায়। তাই এমন মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।
হিন্ডেনবার্গ ও সেবির টানাপোড়েন
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ নামে ওই মার্কিন সংস্থা সোমবার (১ জুলাই) জানিয়েছে যে, আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (AEL)-এর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির দায়ে আদানিকে অভিযুক্ত করে গত বছর রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল হিন্ডেনবার্গ। হিন্ডেনবার্গ সেবির নোটিশকে 'বোকামো' বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তারা পালটা দাবি করেছে, যারা দুর্নীতি ও অসদাচরণ প্রকাশ করে, তাদেরকে ভয় দেখিয়ে চুপ করানোর জন্য সেবি ওই নোটিশ দিয়েছে। হিন্ডেনবার্গের এই অভিযোগে সেবির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আদানি সম্পর্কে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট
২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি, (ভারতে ২৫ জানুয়ারি) নিউইয়র্ক-ভিত্তিক বিনিয়োগকারী গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ একটি ১০৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই রিপোর্টে গৌতম আদানির নেতৃত্বে থাকা আদানি গ্রুপকে 'দশকের দশক ধরে নির্লজ্জ স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি পরিকল্পনা'র দায়ে অভিযুক্ত করে হিন্ডেনবার্গ। আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ২০,০০০ কোটি টাকার ফলো-অন পাবলিক অফার (এফপিও)-এর পরে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছিল। রিপোর্ট প্রকাশের পর আদানি কোম্পানির শেয়ার দাম পড়ে যায়। যেসব এফপিও সম্পূর্ণ সাবস্ক্রাইব হয়েছিল, চাপে পড়ে আদানি গ্রুপ তা বাতিল করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন- মুসলিমদের সম্পত্তিতে নজর? কেন ওয়াকফ আইন বদলাতে চায় সরকার
আদানি গ্রুপের প্রতিক্রিয়া
আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আর, হিন্ডেনবার্গকে 'ভারতের ওপর ছক কষে হামলা চালানো, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা এবং গুণমান নষ্টের চেষ্টা করা, ভারতের বৃদ্ধি এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আঘাত হানার চেষ্টার দায়ে' অভিযুক্ত করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদানি গোষ্ঠীকে সেবির তদন্তের বাইরে অন্য কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে না। আর, সেবি নোটিশে অভিযোগ করেছে যে হিন্ডেনবার্গ ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের ওপর বিনা অনুমতিতে গোপনে নজরদারি চালিয়েছে। আর, সেই সব তথ্য বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছে ফাঁস করে দিয়েছে।