Advertisment

Home for cheetahs: ভারতে এবার চিতার দ্বিতীয় বাড়ি, পর্যটক টানতে তৈরি হচ্ছে সন্তর্পণে

Second home: চিতার 'নিখুঁত' বাসস্থান বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Gandhi Sagar, Wildlife Sanctuary, গান্ধীসাগর, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য,

Gandhi Sagar-Wildlife Sanctuary: যে ছবি একবার দেখলেই মন চাইবে ছুটে যেতে। (ছবি- ইনস্টাগ্রাম)

India’s second home for cheetahs: ভারতে চিতা অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক দশক ছিল না। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই চিতাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর পিছনে যেমন পরিবেশের প্রতি সচেতনতা রয়েছে। তেমনই রয়েছে পর্যটকদের আকর্ষণের চেষ্টাও।

Advertisment

চিতার বাসস্থান

ইতিমধ্যেই আফ্রিকা থেকে আনা চিতাদের স্থান হয়েছে কুনো জাতীয় উদ্যানে। এর পরে পশ্চিম মধ্যপ্রদেশের গান্ধী সাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ভারতে চিতাদের দ্বিতীয় আবাস হতে চলেছে। যাকে চিতার 'নিখুঁত' বাসস্থান বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন। তবে এই অভয়ারণ্যের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে চিতাদের বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সেসব মাথায় রেখেই যাবতীয় প্রস্তুতি সারছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।

নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কখন চিতা আমদানি করা হবে, তা চূড়ান্ত হবে বর্ষাকালের পরে। কারণ, বর্ষার সময় চিতাগুলো আনলে, এই ধরনের বড় বিড়ালের মত প্রাণীরা সংক্রমণের শিকার হতে পারে। যাতে চিতার মৃত্যু পর্যন্ত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

কেন সরকার এই জায়গাটিই বাছল?

গান্ধী সাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে। মধ্যপ্রদেশের পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে রাজস্থান। পশ্চিম মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলার ১৮৭.১২ বর্গকিলোমিটার এবং নিমুচ জেলার ১৮১.৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গান্ধী সাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। জায়গাটি মোট ৩৬৮.৬২ বর্গকিমি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। অভয়ারণ্যের জায়গাটি একটি সমতল পাথুরে মালভূমির ওপরে।

চম্বল নদীর দুই প্রান্ত

চম্বল নদী অভয়ারণ্যটিকে প্রায় সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। এই অঞ্চলে রয়েছে গান্ধী সাগর বাঁধ। যা ১৯৬০ সালে চম্বল নদীর ওপর তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি, এখানে একটি জলাধারও আছে। যার আয়তন ৭২৬ বর্গ কিলোমিটার। ওই জলাধার আয়তনে দেশে তৃতীয় বৃহত্তম। ভূখণ্ড পাথুরে হওয়ায় এখানকার মাটি ঝুরঝুরে। এখানে শুকনো পর্ণমোচী গাছ, কিছু গুল্মে ভরা খোলা অঞ্চল আছে। নদী উপত্যকায় অবশ্য তৃণভূমি রয়েছে।

কেনিয়ার মাসাইমারার মত

বন্যপ্রাণী দফতরের এক আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'জায়গাটা অনেকটা কেনিয়ার মাসাইমারার মত। কেনিয়ার মাসাইমারা অভয়ারণ্য একটা সাভানা মরুভূমি। সিংহ, জিরাফ, জেব্রা, জলহস্তী, হাতি এবং চিতা-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ওখানে আছে। সেই জন্যই ভারতে চিতার দ্বিতীয় আবাসস্থল হিসেবে কুনোর পর গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।'

আরও পড়ুন- পাইকারি বাজারে মূল্যস্ফীতি গত ১৫ মাসে সর্বোচ্চ, কী জানাল কেন্দ্রীয় সরকার?

এলাকা বাড়ানোর সুযোগ আছে

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জায়গাটা এমনই যে চিতার এই আবাসস্থলের আয়তন বাড়ানো যায়। এটা বাড়িয়ে ২,০০০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত করা সম্ভব। তবে, সেজন্য রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ সরকারের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। তাহলেই, মন্দসৌর আর নিমুচের গান্ধীসাগর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পাশাপাশি রাজস্থানের ভাইন্সরোদগড় অভয়ারণ্যকেও চিতার আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

India house Cheetah Wildlife Sanctuary
Advertisment