সুপ্রিম কোর্টে শ্রীশান্তের উপর থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল। আরও একবার বোর্ডের দেওয়া শাস্তি আদালতে খর্ব হয়ে পড়ল।
শুক্রবার বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ এ নির্দেশ দিয়েছে এবং বিসিসিআই-কে তিন মাসের মধ্যে শাস্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছে। এর ফলে ৩৫ বছর বয়সী শ্রীশান্ত আরও একবার বিসিসিআইয়ের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে হাজির হওয়ার সুযোগ পেলেন। কমিটি তাঁর শাস্তির পরিমাণ জানাবে।
আরও পড়ুন, ‘সুপ্রিম’ রায়ে আজীবনের নির্বাসন থেকে মুক্ত শ্রীসন্থ
এর আগে অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্ট মহম্মদ আজহারউদ্দিনের উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছিল। ক্রোনিয়ে কেলেঙ্কারিতে আজহারকে আজীবন নির্বাসন দিয়েছিল বোর্ড। সে ঘটনা এ শতকের গোড়ার দিকের। শ্রীশান্ত ২০১৩-র আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছিলেন।
আদালতে শ্রীশান্তের কৌঁশুলি ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী সলমন খুরশিদ। তিনি আজহারের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক যদি রেহাই পেতে পারেন তবে তাঁর মক্কেল সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন কেন! বিসিসিআইয়ের বক্তব্য ছিল শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে মামলা অত্যন্ত কঠোর এবং তাঁর আজীবন নির্বাসন প্রত্যাহার করা যাবে না। কেরালা দলের পেসার শ্রীশান্তের মতে এই শাস্তি যথাযথ নয়।
ঘটনা হল, ভারতীয় দণ্ডবিধিতে খেলায় স্পট ফিক্সিং এবং ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে কোনও ধারা নেই। পূর্বতন আইনমন্ত্রী কপিল সিবল বলেছিলেন, প্রতারণার অপরাধ দিয়ে স্পট ফিক্সিং এবং ম্যাচ ফিক্সিং বিচার করা যাবে না।
উল্লেখযোগ্য, বিসিসিআইয়ের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শ্রীশান্তকে যে অপরাধী সাব্যস্ত করেছিল, তা নিয়ে আদালত কোনও কথা বলেনি। একই সঙ্গে শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি মামলা চলেছে, তাও চলতে থাকবে। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে আইন কমিশনের প্রস্তাব অনুসারে ম্য়াচ ফিক্সিংয়ের মত ঘটনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
Read the Full Story in English