Advertisment

Darjeeling Zoo Snow Leopards: তুষার চিতার আঁতুড়ঘর! বিরাট সাফল্য দার্জিলিং চিড়িয়াখানার, জানলে গর্ব হবে

Snow Leopards: বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের একাংশ পাহাড়িয়াদের কায়দায় তুষার চিতাকে 'পাহাড়ের ভূত' বলে ডাকেন। তুষার চিতাবাঘকে খাঁচাবন্দি করার প্রথম ঘটনা সামনে আসে ১৮৯১ সালে। সেই সময় লন্ডন চিড়িয়াখানা ভুটান থেকে একটি তুষার চিতাবাঘ অধিগ্রহণ করে। কিন্তু, ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত খাঁচাবন্দি অবস্থায় জন্ম নেওয়া তুষার চিতাবাঘের শাবকরা নিজেরা কখনও প্রজননকারী হয়ে উঠতে পারেনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Snow Leopards। Darjeeling Zoo

Snow Leopards: বর্তমানে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় ১৪টি তুষার চিতাবাঘ আছে। ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানায় আছে ১০টি। (ফাইল ছবি)

Leopards and Snow Leopards: দার্জিলিং-এর পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক (PNHZP), ১৯৮০-এর দশক থেকে ৭৭টি তুষার চিতাবাঘের সফল প্রজননের জন্য সংবাদ শিরোনামে। এই কৃতিত্ব শুধুমাত্র নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানার রয়েছে। সেখানে তুষার চিতা প্রজাতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ৮০টি তুষার চিতাবাঘের শাবক জন্ম নিয়েছে। তবে, সেখানে তুষার চিতার প্রজনন করানো শুরু হয়েছে ১৯৬০-এর দশক থেকে। সেই হিসেবে দার্জিলিঙের সাফল্য অনেকে তাড়াতাড়ি এসেছে। বন্দি অবস্থায় বন্য বিড়াল প্রজাতির প্রাণী এই চিতাবাঘদের বংশবৃদ্ধি করানো খুবই কঠিন কাজ। তাদের চড়া মেজাজ, শারীরিক বৃত্তি এবং নানা জেনেটিক বিষয়ের ওপর বন্দিত্ব প্রভাব ফেলে। যা প্রজননে বাধা তৈরি করে।

Advertisment

খাঁচায় প্রজনন
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের একাংশ পাহাড়িয়াদের কায়দায় তুষার চিতাকে 'পাহাড়ের ভূত' বলে ডাকেন। তুষার চিতাবাঘকে খাঁচাবন্দি করার প্রথম ঘটনা সামনে আসে ১৮৯১ সালে। সেই সময় লন্ডন চিড়িয়াখানা ভুটান থেকে একটি তুষার চিতাবাঘ অধিগ্রহণ করে। কিন্তু, ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত খাঁচাবন্দি অবস্থায় জন্ম নেওয়া তুষার চিতাবাঘের শাবকরা নিজেরা কখনও প্রজননকারী হয়ে উঠতে পারেনি। কোপেনহেগেন চিড়িয়াখানায় সেই সাফল্যের পরে, তুষার চিতাবাঘগুলো বন্দিদশায় তুলনামূলকভাবে ভালো বংশবৃদ্ধি করেছে। ১৯৯১ সালের মধ্যে, চিড়িয়াখানার সমস্ত তুষার চিতাবাঘের ৯৮%-এর জন্ম হয়েছিল বন্দি অবস্থায় প্রজননের মাধ্যমে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ১০ হাজারের বেশি জন্মগত বন্দি বাঘ আছে। যার সংখ্যা বনে ঘুরে বেড়ানো বাঘের দ্বিগুণ। দক্ষিণ আফ্রিকা যদিও ২০২১ সালে বন্দি সিংহের প্রজনন নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু, ব্যক্তিগত খামারগুলোতে থাকা ৬,০০০-এর বেশিসংখ্যক সিংহের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি।

সংকট কাটেনি
তবুও, তুষার চিতাবাঘের পাশাপাশি বড় বিড়ালজাতীয় প্রাণীর বন্দি অবস্থায় প্রজননের সংকট কাটেনি। দেখা গিয়েছে, প্রজনন দূর। পুরুষ বাঘ মেয়ে বাঘকে হত্যা করছে। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা এই লাজুক প্রজাতির (তুষার চিতাবাঘ) প্রাণীটির প্রজনন করানো লাল পান্ডাদের চেয়েও কঠিন বলেই মনে করেন। তার একটি উদাহরণ ২০১৯ সালে লন্ডন চিড়িয়াখানায় মিলেছিল। দুটি বাঘকে পাশাপাশি খাঁচায় ১০ দিন রাখার পরে মিলনের একটি উত্সাহজনক লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, সেই লক্ষণ কয়েক মিনিটের মধ্যে লড়াইয়ে পরিণত হয়। যাতে মারা যায় সুমাত্রান নামে ১০ বছর বয়সি মেয়ে চিতাবাঘ। অতি সম্প্রতি, দুটি পুরুষ চিতাকে গত মে মাসে কুনো জাতীয় উদ্যানের একটি ঘেরের ভিতরে মেয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা আশায় ছিলেন যে, চিতাবাঘগুলো সঙ্গম করতে পারে। কিন্তু, তাতে ফল হয় উলটো। পুরুষ চিতাবাঘগুলো হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। যাতে দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা চিতাবাঘ 'দাখশা' মারা যায়।

zoo Cheetah India USA South Africa
Advertisment