সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে বেশ কয়েকটি আবেদন নিজের কাছে স্থানান্তর করেছে। এই আবেদনগুলো দিল্লি এবং কেরল হাইকোর্টে বিচারাধীন ছিল। প্রবীণ আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামী হাইকোর্ট থেকে এই আবেদনগুলোর স্থানান্তর চেয়েছিলেন। যাতে তাঁরা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে শুনানি করতে পারেন। দেশের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ সেই অনুমতি দিয়েছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় LGBTQ অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারপর এই মামলা সেই অধিকারের ওপর শীর্ষ আদালতের প্রথম বড় হস্তক্ষেপ হতে চলেছে।
অন্যান্য দেশে কী ঘটছে?
আমেরিকার এলজিবিটিকিউ অ্যাডভোকেসি গ্রুপ হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের বক্তব্য অনুযায়ী, বিশ্বের মাত্র ৩২টি দেশ সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়। এরমধ্যে বেশিরভাগ দেশে আইনের মাধ্যমে সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০টি দেশে এই স্বীকৃতি আদালতের রায়ের মাধ্যমে মিলেছে।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র: ২০১৫ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আদালত ৫:৪ রায়ে সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। SCOTUS যুক্তি দিয়েছিল যে বিবাহকে শুধুমাত্র বিষমকামী দম্পতিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা আইনের অধীনে সমান সুরক্ষার ১৪তম সংশোধনীর গ্যারান্টিকে লঙ্ঘন করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকাব্যাপী সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেওয়া হয়। রায়ের আগেই অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২টি রাজ্য সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। এর মধ্যে ২০০৩ সালে, ম্যাসাচুসেটস রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় অনুসরণ করে সমকামী বিবাহকে বৈধ করার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- ভারতে তৈরি হচ্ছে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, তাদের জন্য কী নিয়ম লাগু হবে?
অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড: ২০১৭ সালে এই সব দেশগুলোয় গণভোটের পর, অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি আইন পাস করে। গণভোট সেই আইনকে সমর্থন করে। আবার আয়ারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডেও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণ সমকামী বিয়েকে গণভোটের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেন।
Read full story in English