বিহার নাকি মদের ব্যাপারে 'শুকনো'। আর সেখানেই সর্বশেষ বিষমদ-কাণ্ডে সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮। সমালোচকরা এখন পালটা বলছেন যে এই মৃত্যুই ঘটত না যদি বিহার সরকার মদ্যপান এবং মদ কেনা ও বেচা নিষিদ্ধ না-করত। সমালোচকদের মত, অ্যালকোহলের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার ফলে বিহার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। পাশাপাশি, স্থানীয় কায়দায় মদ তৈরি এবং বিক্রি বেড়েছে।
যদিও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সমালোচকদের এই সব দাবি মানতে নারাজ। তিনি বিধানসভাতেই বিজেপির বিধায়কদের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে রীতিমতো খেপে উঠেছেন। আর, সরাসরি বিজেপির বিধায়কদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন, 'আপনারা পুরো মদ্যপ হয়ে গিয়েছেন।' ভারতবর্ষের সংস্কৃতিতে মদ খাওয়াটাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয় না। বিশেষ করে সমাজের নীচুতলায় এমন ভাবনা আজও রয়েছেই।
শুধু তাই নয়, ভারতে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ করার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। যেখানে এই নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের রাষ্ট্রীয় নীতির নির্দেশক শুধু নয়। মূল গান্ধীবাদী নীতিগুলিরও অন্যতম। সেই হিসেবে নীতীশ কুমারের এত বড় অভিযোগের পর রীতিমতো চুপ মেরে গিয়েছেন বিহারের বিরোধীরা। তার মধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব নিজেদের অবস্থান বদলে দাবি করেছেন, তাঁরাও নীতীশের মতই মদ্যপান বন্ধ ও মদের বেচাকেনার বিরোধী। কিন্তু, নীতীশ কুমারের সরকার মদের বেচাকেনা এবং মদ্যপান রুখতে পারছে না। তাঁরা কেবল সেই অভিযোগই করছেন।
আরও পড়ুন- বিভিন্ন দেশে করোনা বাড়ছে, আরও কড়া হচ্ছে কেন্দ্র, জারি নতুন নির্দেশিকা
বিজেপি নেতাদের এক্ষেত্রে নিশানা যে নীতীশের শরিক রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একসময় বিহারে ক্ষমতায় ছিল রাষ্ট্রীয় জনতা দল। আর, তারা দীর্ঘদিন ধরেই বিহার শাসন করেছে। সেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের আমলে বিহার কার্যত কুশাসনে ভরে গিয়ে গিয়েছিল। নীতীশ কুমারের জমানায় এই অবস্থা কিছুটা হলেও বদলেছে। কিন্তু, আদৌ নীতীশ সরকারের দামিমত বিহারকে মদের ব্যবহারে শূন্য করে দেওয়া গিয়েছে।
Read full story in English