মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, জাপান এবং রাশিয়া-সহ চারটি দেশের চার মহাকাশচারী শনিবার (২৬ আগস্ট) ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) দিকে একটি স্পেসএক্স রকেটে চেপে যাত্রা করেছে। এটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহাকাশযাত্রা যেখানে মহাকাশযানের ওপরে থাকা সমস্ত নভোচারী বিভিন্ন দেশের সদস্য। এতদিন পর্যন্ত নাসা তার স্পেসএক্স মহাকাশযানে নিজের দেশের দুই বা তিন জন মহাকাশচারীকে মহাকাশে নিয়ে গিয়েছে।
Advertisment
কারা এই অভিযানে অংশ নিলেন? ক্রু-৭ নামে পরিচিত এই অভিযানে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশচারী জেসমিন মোগবেলি, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইএসএর মহাকাশচারী আন্দ্রেয়াস মোগেনসেন, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি বা জাক্সার নভোচারী সাতোশি ফুরুকাওয়া এবং রোসকসমসের মহাকাশচারী কনস্টানটিন বোরোকাওয়া রয়েছেন। মার্চ থেকে সেখানে বসবাসকারী চার মহাকাশচারীর পরিবর্তে তাঁরা রবিবার আইএসএস বা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছেন। মহাকাশচারীদের এই নতুন ব্যাচ আগামী ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবে আর, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। মহাকাশের কক্ষপথ থেকে মিশন কমান্ডার মোগবেলি বার্তা পাঠিয়েছেন, 'আমরা একটি অভিন্ন অভিযানের জন্য ঐক্যবদ্ধ দল। আমরা যখন একসাথে কাজ করি, তখন কী করতে পারি, এই অভিযান সেটাই দেখাচ্ছে।'
কেন এমন বিভিন্ন জায়গার মহাকাশচারীদের পাঠাল নাসা? ক্রু-৭ অভিযান মহাকাশে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বর্তমান সহযোগিতার ফল। বিশেষ করে ১৯৯৮ সালে মহাকাশ স্টেশন যাত্রা শুরুর পর এই প্রথম এমন বিভিন্ন দেশের মহাকাশচারীদের নাসা পাঠাল। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কর্মসূচিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, জাপান-সহ অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলো জড়িত। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং নাসার ওয়েবসাইট অনুসারে, এই অভিযান এখনও পর্যন্ত চেষ্টা করা সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অন্যতম উদাহরণ। যে কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক বা বিভিন্ন দেশের মহাকাশচারী, একাধিক উৎক্ষেপণ যান, বিশ্বব্যাপী চালু থাকা অভিযানের প্রশিক্ষণ, কৌশল এবং কারিগরি সুবিধাগুলোকে একসঙ্গে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক গবেষকরা এই অভিযানে সাহায্য করেছেন।