Employment in India: শুধু পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্ব বাড়ছে! নাকি দেশেই কাজের বাজারেরই হাল খারাপ?
India Report 2024: ২০২২ সালে মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে স্বেচ্ছাদ্যোগের পরিমাণ ছিল ৫৫.৮%। অনিয়মিত কর্মসংস্থানের পরিমাণ ছিল ২২.৭%। আর, নিয়মিত কর্মসংস্থানের পরিমাণ ছিল ২১.৫০%।
State of employment in India: মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন তাদের, 'ইন্ডিয়া এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪' প্রকাশ করেছে। তাতে শ্রমশক্তি, কর্মশক্তি, বেকারত্বের মত বিষয়গুলোর অবস্থা কেমন, তা কোভিড-১৯ মহামারী এবং অর্থনৈতিক মন্দার সময়কালের সঙ্গে তুলনা টেনে পরিস্থিতি স্পষ্ট করেছে।
Advertisment
কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে দরিদ্রদের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অ-কৃষি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান কমেছে। মহিলাদের সরকারি এবং বেসরকারি বৃহত্তর কর্মসংস্থান কমেছে। বদলে স্ব-কর্মসংস্থানে নজর দিতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মহিলাদের অবৈতনিক পারিবারিক কাজের বৃদ্ধি ঘটেছে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় যুবকদের কর্মসংস্থানের হার কম। মজুরি এবং উপার্জনও স্থবির হয়েছে বা হ্রাস পেয়েছে।
যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখা হয়েছে এই রিপোর্ট, সাতটি শ্রমক্ষেত্রের ফলাফলের সূচকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্ট তৈরিতে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখা হয়েছে, তা হল: (১) নিয়মিত হয়ে চলা কাজে নিযুক্ত শ্রমিকের হার, (২) অনিয়মিত শ্রমিকের হার, (৩) দারিদ্র্যসীমার নীচে স্বনিযুক্ত কর্মীদের হার, (৪) কাজে অংশগ্রহণের হার, (৫) অনিয়মিত শ্রমিকদের গড় মাসিক আয়, (৬) মাধ্যমিক পাশ থেকে উচ্চশিক্ষিত যুবকদের বেকারত্বের হার, (৭) শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ এবং যুবকদের কর্মসংস্থান।
ভারতে যুবক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের বেকারত্বের অবস্থা।
Advertisment
কর্মসংস্থানের মান রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৃহত্তর ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়েনি। প্রথাগত চাকরির সংখ্যা কমেছে। যেটুকু চাকরি হচ্ছে, সবটাই অপ্রথাগত ক্ষেত্রে। পাশাপাশি, স্বেচ্ছাদ্যোগ বেড়েছে। অবৈতনিক পারিবারিক কাজের পরিমাণও বেড়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও বেশি করে লক্ষ্য করা গেছে। প্রায় ৮২% কর্মশক্তির নিয়োগ ঘটেছে অপ্রথাগত ক্ষেত্রে। এমনটাই বলা হয়েছে রিপোর্টে।
সামাজিক গোষ্ঠী এবং শিক্ষার স্তর দ্বারা বিভক্ত মোট বেকার ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষিত বেকার যুবকদের ভাগ এবং যুব বেকারত্বের হার।
কর্মসংস্থানের পরিমাণ কীভাবে প্রথাগত কর্মসংস্থান কমেছে, তা একটা হিসেব দিলেই বোঝা যাবে। ২০২২ সালে মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে স্বেচ্ছাদ্যোগের পরিমাণ ছিল ৫৫.৮%। অনিয়মিত কর্মসংস্থানের পরিমাণ ছিল ২২.৭%। আর, নিয়মিত কর্মসংস্থানের পরিমাণ ছিল ২১.৫০%।
আগে যা ছিল ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে স্বউদ্যোগ বা নিজের তৈরি কর্মসংস্থানের পরিমাণ ছিল মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৫২%। পাশাপাশি, নিয়মিত কর্মসংস্থান প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৪.২% থেকে ২৩.৮% হয়েছিল। কিন্তু, ২০২২ সালে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে পরিস্থিতিটা বদলে গেছে। স্বেচ্ছা কর্মসংস্থান, মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৫৫.৮% হয়েছে। আর নিয়মিত কর্মসংস্থান কমে ২১.৫% হয়েছে। অস্থায়ী কর্মসংস্থান ২০০০ সালে ছিল ৩৩.৩%। সেটাও ২০২২ সালে ধারাবাহিকভাবে কমে ২২.৭%-এ নেমে এসেছে।