New Year Celebration: কার্ফু, ১৪৪ ধারা থেকে করোনা বিধি। ওমিক্রন চোখ রাঙাতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যগুলো। বর্ষবরণ এবং ইংরাজি নববর্ষ উদযাপনে রাশ টানতে একাধিক রাজ্য উদ্যোগ নিয়েছে। এই পরিবেশে দেশে একধাক্কায় ৪৬% বৃদ্ধি পেয়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ১৩,১৫৪। দেশে মোট মৃত ৪,৮০,৮৬০ জন, সক্রিয় সংক্রমণ ৮২, ৪০২। পাশাপাশি প্রায় হাজার (৯৬১) ছুঁইছুঁই দেশের ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা। এই প্রজাতির সংক্রমণে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে দিল্লি, তারপরেই মহারাষ্ট্র।
এবার দেখে নেওয়া যাক বর্ষ বরণে উদযাপনে রাশ টানতে কোন রাজ্যে কী বিধি কার্যকর:
দিল্লি-- রাজ্যের সংক্রমণ হার পরপর দুই দিন ০.৫%-এর উপর যেতেই কার্যকর হলুদ সতর্কতা। বন্ধ সব ধরনের জমায়েত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জিম এবং সিনেমা হল। কার্যকর রয়েছে নাইট কার্ফুও। রাত ১০টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ, ক্লাব, পানশালায় সর্বাধিক ৫০% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে প্রশাসন।
মহারাষ্ট্র: রাজ্যব্যাপী নববর্ষ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে কিছু বিধি চাপিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। বর্ষ বরণ উদযাপনের অনুষ্ঠান বদ্ধ স্থানে হলে জমায়েত ৫০% আর প্রকাশ্যে হলে জমায়েত ২০%। তবে বৃহৎ মুম্বই পুরসভা শহরজুড়ে বর্ষ বরণের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পার্টির জন্য নৌকা, ক্রুজ কিংবা ব্যাঙ্কোয়েট হল ভাড়া দেওয়া বন্ধ। তবে একমাত্র বসে খাবারের জন্য রাত ১২.৩০টা অবধি খোলা থাকবে রেস্তোরাঁ। তবে ঢোকাতে হবে সর্বাধিক ৫০% গ্রাহককে।
কর্নাটক: প্রকাশ্যে বর্ষবরণ উদযাপনের সব অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দক্ষিণের এই রাজ্যে। বদ্ধ কোনও স্থানে উদযাপনের বিশেষ ব্যবস্থা করা যাবে না। হোটেল বা রেস্তোরাঁয় সীমিত জমায়েত বর্ষবরণ উদযাপনে অনুমতি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
এদিকে, ক্রমশ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশে চতুর্থ স্থানে রাজ্য। দেশের ৮টি জেলার মধ্যে কলকাতায় পজিটিভিটি রেট ৮.৫ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১.৪৫ থেকে বেড়ে ৩.১ শতাংশ হয়েছে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লব আগরওয়াল।
এদিন তিনি বলেন, প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা নিয়ে কথা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে পজিটিভিটি রেট অনেকটাই বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। কেরলেও পজিটিভিটি রেট অনেকটাই বেড়েছে। সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গুজরাট, দিল্লিতে। অবিলম্বে করোনা বিধি মানতে কড়াকড়ি প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গে-সহ ১০টি রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।
ওমিক্রন উদ্বেগের মধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনের পর্যবেক্ষণে উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই রাজ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের। দিল্লির মতো কলকাতাতেও গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলেছে। তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক ৩০-৩৫ হাজার সংক্রমণের পূর্বাভাস স্বাস্থ্য দফতরের। আবার মার্চ-এপ্রিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন