scorecardresearch

Explained: সনিয়া গান্ধী, এক অনিচ্ছুক রাজনীতিবিদ যেভাবে হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের ভরকেন্দ্র

রায়পুর অধিবেশনে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীর মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

Sonia Gandhi
রায়পুর অধিবেশনে সনিয়া গান্ধী।

শনিবারই ছত্তিশগড়ের রায়পুরে দলের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থেকে জল্পনার জন্ম দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তিনি বলেছেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে নিজের ইনিংসের সমাপ্তিতে তিনি খুশি।’ দলে তাঁর ভূমিকার জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবও পাশ হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে সনিয়া বলেন, ‘এই প্রস্তাব এটাও দেখায় যে আমি কত বৃদ্ধ হয়েছি এবং এখন খাড়গে জির নেতৃত্বে তরুণদের কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’ দল অবশ্য এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে, সনিয়া গান্ধী রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা বলছেন না। তিনি দলের সভানেত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার কথাই বলেছেন।

হিন্দুমতে রাজীব-সনিয়া বিয়ে। বিয়ের পর সপরিবারে।

দায়িত্ব গ্রহণ
প্রায় ২৫ বছর আগে সনিয়া গান্ধী কংগ্রেস সভানেত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৮ সালেও তিনি রাজনীতিতে আসতে চাননি। কিন্তু, দলের প্রয়োজনে রাজনীতিতে আসতে অনিচ্ছুক সনিয়া কংগ্রেসের লাগাম হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তখন কংগ্রেস এক দশকের মধ্যে গান্ধী পরিবারের দুই নেতার হত্যার জেরে বিশৃঙ্খল। লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের জেরে দল বিপর্যস্ত। একের পর এক অন্তর্দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। পাশাপাশি চলছে, প্রবীণ নেতাদের বিদ্রোহ ও দলত্যাগ। সেই সময় মাত্র তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস- মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা ও মিজোরাম। এর পরে সনিয়ার জমানায় দু’বার ক্ষমতায় আসে দল। দেশের ১৬টি রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরেছিল কংগ্রেস।

প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে সনিয়া গান্ধী।

রাজনীতিতে যোগ
এ যেন এক উলটপুরাণ। যে সনিয়া গান্ধী কোনওদিন রাজনীতিতে যোগ দিতে চাননি। তাঁর স্বামী রাজীব গান্ধীকে পর্যন্ত অনুরোধ করেছিলেন, যাতে তাঁকে রাজনীতির বাইরেই রাখা হয়। সেই রাজনীতিতেই তাঁকে পা রাখতে হয় স্বামী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর। ৪৬ বছর বয়সি রাজীব একদশকেরও কম সময় সক্রিয় রাজনীতিতে সময় কাটানোর পর নিহত হন। আর, তারপরই কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের উত্তরাধিকার সামলানোর ব্যাটন তাঁকে হাতে তুলে নিতে হয়।

আরও পড়ুন- অমৃতপাল সিংয়ের সমর্থকদের তাণ্ডব, খালিস্তান আন্দোলনের উৎপত্তি কোথা থেকে?

রাজীব গান্ধীর সাথে প্রাথমিক জীবন এবং বিবাহ
সনিয়া গান্ধী ৯ ডিসেম্বর, ১৯৪৬-এ জন্মগ্রহণ করেন। বাবা স্টেফানো মাইনো ছিলেন ছিলেন একজন বহুতলের রাজমিস্ত্রি। মা পাওলা মাইনো। তিনি তাঁর বোন নাদিয়া এবং আনুশকার সাথে ইতালির একটি ছোট শহর ওরবাসানোতে বড় হয়েছেন। তাঁর পরিবার রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের। ১৯৬৪ সালে, তিনি ইংরেজি অধ্যয়নের জন্য ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে যান। যেখানে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। রাজীব তখন কেমব্রিজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন। দু’জনে প্রেমে পড়েন। আর, ১৯৬৮ সালে হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে করেন। সনিয়া তারপর ভারতে ফেরেন। থাকতে শুরু করেন তাঁর শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধীর বাড়িতে। ধীরে ধীরে প্রচারের আলো, চক্রান্ত আর রাজনীতির হিংসার জগৎ তিনি চিনে নিতে বাধ্য হন।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Explained news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Story of how the reluctant politician turned into congress power centre