Advertisment

Explained: ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন ডলার, এর কী প্রভাব পড়ছে?

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডলারের দাম আরও বাড়তে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
US dollar

আটলান্টিকজুড়ে ব্রিটিশ পাউন্ড থেকে প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে দক্ষিণ কোরিয়ান ওয়ান সবকিছুরই সঙ্গে তুলনায় মার্কিন ডলারের মূল্য একবছরেরও বেশি সময় ধরে বেড়ে চলেছে। শুক্রবার ফের ওঠার পর, ইউরো এবং জাপানিজ ইয়েন-সহ ছয়টি প্রধান মুদ্রার সঙ্গে তুলনায় ডলার দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি রয়েছে। অনেক পেশাদার বিনিয়োগকারীই আশা করেন না যে শীঘ্রই ডলারের পতন হবে। ডলারের এই ঊর্ধ্বগতিতে প্রায় সবাই প্রভাবিত হয়েছেন। এমনকী, যাঁরা কখনও মার্কিন সীমানা মাড়ান না, তাঁরাও। কী কী কারণে মার্কিন ডলারের দাম বাড়ছে এবং এর প্রভাবে কী হতে পারে?

Advertisment

ডলার শক্তিশালী বলার মানে কি?
অন্য মুদ্রার চেয়ে এক ডলার কিনতে আগের চেয়ে অনেক বেশি মুদ্রা দিতে হচ্ছে। জাপানি ইয়েনের কথাই ধরুন। এক বছর আগে এক মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ১১০ ইয়েন পাওয়া যেত। এখন ১৪৩ ইয়েন পাওয়া যায়। যার অর্থ, তুলনায় প্রায় ৩০% বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংক, ব্যবসা-সহ নানা কারণে এখন বিশ্বজুড়ে হস্তান্তরিত হচ্ছে। মার্কিন ডলারের মূল্য ইউরো, ইয়েন এবং অন্যান্য প্রধান মুদ্রার সঙ্গে তুলনায় এই বছর গড়ে ১৪%-এরও বেশি বেড়েছে।

কেন ডলারের দাম বাড়ছে?
কারণ, মার্কিন অর্থনীতি অন্যদের তুলনায় ভালো চলছে। মুদ্রাস্ফীতি বেশি হলেও, মার্কিন চাকরির বাজার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্ত রয়েছে। অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্র- যেমন পরিষেবা ভালো হয়েছে। আবাসন শিল্পের গতি বেড়েছে। অর্থনীতির অন্যান্য সমস্যাও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সুদের হার বাড়াবে। এতে মার্কিন কোষাগারেও সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বাড়ছে।

আরও পড়ুন- ভারতের কোহিনুর, কীভাবে হাতিয়ে নিয়েছিল ব্রিটিশরা?

ডলারের দাম বাড়ায় মার্কিন পর্যটকদের সুবিধা হবে?
অবশ্যই। টোকিওতে মার্কিন ভ্রমণকারীরা রাতের খাবারের জন্য আগের তুলনায় ২৩% কম ডলার খরচ করবেন। আর্জেন্টাইন পেসো থেকে মিশরীয় পাউন্ড অথবা দক্ষিণ কোরিয়ান ওয়ান পর্যন্ত সবকিছুর তুলনায় এবছর ডলারের দাম দ্রুত বেড়ে যাওয়ায়, সেই সব দেশেও মার্কিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এটা কি শুধুমাত্র ধনীদের সাহায্য করবে?
না। একটি শক্তিশালী ডলারও মার্কিন ক্রেতাদের আমদানি খরচ কমাবে। তাঁরা আরও বেশি করে আমদানি করতে পারবেন। ইউরোর তুলনাতেও ডলারের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি, সাধারণ মার্কিন নাগরিকরা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি ইউরো-সহ অন্যান্য বিদেশি মুদ্রা নিজেদের কাছে রাখতে পারবেন। সাধারণ, মার্কিন নাগরিকরাও আগের তুলনায় কম দামে দৈনন্দিন কেনাকাটা করতে পারবেন।

Read full story in English

dollar Japan USA
Advertisment