scorecardresearch

Explained: দলাই লামার উত্তরাধিকার বিশ্বে কতটা প্রভাব ফেলবে, কী বলছে তিব্বতের ঐতিহ্য?

চিন আর তিব্বতের মধ্যে সাংস্কৃতিক ভেদাভেদ আছে।

Dalai_Lama

দলাই লামা এক মার্কিন বংশোদ্ভূত মঙ্গোলিয়ান বালকের নাম রেখেছেন দশম খালখা জেটসুন ধাম্পা। যিনি হবেন তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের জনাং ঐতিহ্যের প্রধান এবং মঙ্গোলিয়ার বৌদ্ধ আধ্যাত্মিক প্রধান। গত ৪ মার্চ ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত ৬০০ ভক্তের সামনে দলাই লামা বলেছিলেন, ‘আজ আমাদের মঙ্গোলিয়ার খালখা জেটসুন ধাম্পা রিনগোছের পুনর্জন্ম।’

পুনর্জন্ম নিয়ে জল্পনা
নবম খালখা জেটসুন ধাম্পা ২০১২ সালে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটারে মারা যান। তারপর থেকে, তাঁর পুনর্জন্মের জন্য অপেক্ষা চলছিল। ২০১৬ সালে দলাই লামার সর্বশেষ মঙ্গোলিয়া সফরের সময়, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে জেটসুন ধাম্পা জন্মগ্রহণ করেছেন আর, তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এর আগে উলানবাটারের সবচেয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক পরিবারের এক সন্তানকে পুনর্জন্ম নেওয়া জেটসুন ধাম্পা বলে মনে করা হয়েছিল। মঙ্গোলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গণিতের অধ্যাপক আলতান্নার চিনচুলুউন এবং এক ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী মোনখনাসান নরমন্দখের যমজ সন্তানদের একজন।

দলাই লামার প্রভাব
কিন্তু, শেষপর্যন্ত দলাই লামা নতুন কথা শুনিয়েছেন। ১৪তম দলাই লামার এই বক্তব্য গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। কারণ, দলাই লামা হলেন তিব্বতের প্রধান আধ্যাত্মিক গুরু এবং কর্তা। তিব্বতকে চিন দখল করে নেওয়ার পর ৭০ বছর ধরে দলাই লামা ভারতের ধর্মশালায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। তাঁর সময়ে তিনি তিব্বতের সবচেয়ে সরব, জনপ্রিয় ও স্পষ্টভাষী ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। এবার পুনর্জন্ম নিয়ে তাঁর বক্তব্য, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিব্বত বিষয়ক ভারতীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত উপদেষ্টা অমিতাভ মাথুর ২০১৯ সালে এনপিআরকে বলেছিলেন, ‘দলাই লামার পুনর্জন্ম তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মকে নিয়ন্ত্রণ করে। চিন এবং তিব্বতের মধ্যে এক সভ্যতাগত লড়াই আছে।’

আরও পড়ুন- ডন থেকে রাজনীতিবিদ, উমেশ পাল অপহরণে দোষী সাব্যস্ত, কে আতিক আহমেদ?

তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা
নবম শতাব্দীতে বৌদ্ধধর্ম তিব্বতে প্রধান ধর্ম হয়ে ওঠে। এটি বৌদ্ধধর্মের মহাযান এবং বজ্রযান ঐতিহ্য থেকে বিকশিত হয়েছে। ভারতে গুপ্ত-পরবর্তী বৌদ্ধধর্মের বিকাশের আগে তিব্বতে ছড়িয়ে থাকা ‘বন ধর্ম’ ভারত ও তিব্বতের অনেক তান্ত্রিক এবং সাধকদের প্রভাবিত করেছিল।

তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের মঠ
তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের চারটি প্রধান মঠ রয়েছে: নাইংমা (অষ্টম শতাব্দী), কাগ্যু (এগারোশো শতাব্দী), শাক্য (১,০৭৩ খ্রিস্টাব্দ), এবং গেলুগ (১,৪০৯ খ্রিস্টাব্দ)। এর মধ্যে জনাং মঠ (১২ শতক) ছোট স্কুলগুলোর একটি। যা শাক্য মঠের একটি শাখা হিসেবে বেড়ে উঠেছে। ১,৬৪০ সাল থেকে, গেলুগ মঠ তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের প্রধান মঠ। দলাই লামা এই মঠের ভিক্ষু।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Explained news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Succession of dalai lama and what says tradition