বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহে একটি ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতিবছর আত্মহত্যা করেন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ। অন্য দিক থেকে হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে কোনও না কোনও মানুষ আত্মহত্যা করছেন। আরেকটি তথ্য প্রায়শই নজর এড়িয়ে যায়, যে প্রতিটি সফল আত্মহত্যার পিছনে অন্তত ২০টি আত্মহত্যার চেষ্টা রয়েছে।
প্রথম চার্টটিতে দেথা যাচ্ছে আঞ্চলিকভাবে আত্মহত্যার হারের পরিমাণ। প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যা পিছু ১০.৫৩ জন সারা দুনিয়া জুড়ে আত্মহত্যা করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহননের হার ইউরোপে। সবচেয়ে কম আত্মহত্যা করেন পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ। তবে প্রতিটি অঞ্চলের মধ্যেও আবার বিশাল তফাৎ রয়েছে। ২ নং চার্ট যেমন দেখাচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আত্মহত্যার হারে ব্যাপক ফারাক রয়েছে।
আরও পড়ুন, বজ্রপাতে মৃত্যু এড়াতে রাজ্যগুলির সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন কেন, কী বলছেন বিশেষজ্ঞ
২ নং চার্টে দেখা যাচ্ছে ভৌগোলিক ও সম্পদ বণ্টনের দিক থেকে এবং আর্থিক উন্নয়নের দিক থেকে ভিন্ন দেশগুলির মধ্যে আত্মহননের হার বিভিন্ন রকম। এদিক থেকে ভারত রয়েছে তার সঙ্গে তুলনীয় ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল ও চিনের পরেই। সারা বিশ্বের যা নিরিখ, তার চেয়ে চারগুণ বেশি আত্মহত্যার হার দেখা যায় রাশিয়ায়।
সূত্র- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা আয়ুষ্কাল ধরেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও, ১৫-থেকে ২৯ বছর বয়স্কদের মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ আত্মহননই। তিন নং চার্টে অল্পবয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতার তথ্য ভেঙে দেওয়া রয়েছে। এই বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে থাকে দুর্ঘটনায় এবং এই বয়সের মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে থাকে মাতৃত্বজনিত কারণে।
সূত্র- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
আত্মহত্যার সঙ্গে মানসিক অসুস্থতার যোগাযোগ, বিশেষ করে অবসাদ ও মদ্যপানের সংযোগ ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেখাচ্ছে বহু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে সংকটকালে এবং ব্যক্তিবিশেষ কোনও ধরনের কঠিন চাপ নিতে না পারলে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আত্মহননের সবচেয়ে বড় রিস্ক ফ্যাক্টর হল পূর্ববর্তী আত্মহনন প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন, চন্দ্রযান ২: কীভাবে বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে?
পদ্ধতি হিসেবে দেখা যাচ্ছে প্রায় ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে কীটনাশক খাচ্ছেন আত্মহত্যাকারীরা। কীটনাশক ব্যবহার করে আত্মহনন ঘটছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলির গ্রামীণ কৃষি এলাকায়। এ ছাড়া গলায় ফাঁস দেওয়া ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আত্মহননের একটি সাধারণ পদ্ধতি।
Read the Full Story in English