ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF) দুটি যুদ্ধবিমান, একটি সুখোই ৩০ এবং একটি মিরাজ ২,০০০ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। শনিবার সেই দুর্ঘটনায় একজন অভিজ্ঞ পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। এই বিমান ধ্বংসের কারণ খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত আদালত (কোর্ট অফ এনকোয়ারি) গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষজ্ঞরা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, এই ধরনের উন্নত প্রশিক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। এতে পাইলটদের দক্ষতার বিষয়টিও জড়িত। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাই আগে থেকে অনুমান করা কঠিন।
প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, দুটি বিমান একই বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ার পর একই সময়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। তাদের ধ্বংসাবশেষ একই এলাকায় পাওয়া গিয়েছে। তাই মাঝ আকাশে দুটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধে পারদর্শী এক অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ বলেন, 'আমরা জানি না যে কী কারণে এবং কোন পর্যায়ের দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের সংঘর্ষ হয়েও থাকতে পারে। তদন্তের পর এসব জানা যাবে।'
বায়ুসেনার এক আধিকারিক বলেন, 'যুদ্ধের পরিবেশ এবং কৌশল অত্যন্ত জটিল। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ঝুঁকিও অনেক বেশি থাকে। তবে, সচরাচর এমন দুর্ঘটনা ঘটে না। যথেষ্ট সতর্কতা থাকে। এই ধরনের জটিল প্রশিক্ষণের আগে তো বিভিন্নস্তরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নানারকম প্রস্তুতি নেওয়াও হয়। তাই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্তের পরই বলা সম্ভব।'
আরও পড়ুন- সিন্ধুর জলচুক্তি, সংশোধন করার জন্য কেন পাকিস্তানকে নোটিস দিল ভারত?
ভারতীয় বিমানের ইতিহাস বিশেষজ্ঞ অঞ্চিত গুপ্ত, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন মাঝে আকাশে দুটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরল ঘটনা। তবে, যুদ্ধ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিমানগুলো যখন আশপাশ দিয়ে ওড়ে, তখন এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। বিশেষ করে বড় ধরনের বা যুদ্ধের কঠিন অনুশীলনের সময় এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। গুপ্তা জানিয়েছেন, গত সাত দশকে মাঝ আকাশ থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার ৬২টি বিমান ধ্বংস হয়েছে। যার মধ্যে ১১টি মিগ ২১-বিমান।
Read full story in English