/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/11/Smiling-Sun.jpg)
সম্প্রতি, @NASASun টুইটার হ্যান্ডেলে সূর্যের একটি ছবি শেয়ার করেছে। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে সূর্য আপাতদৃষ্টিতে 'হাসছে'। ২০১০ সাল থেকে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করে চলা NASA Solar Dynamics Observatory উপগ্রহের ক্যামেরায় এই ছবি ধরা পড়েছে। ছবিতে সূর্যের পিঠে কালো দাগ রয়েছে যা দেখতে সূর্যের হাস্যরত মুখের মত। NASA ব্যাখ্যা করেছে যে এইগুলো আসলে সূর্যের মধ্যে দাগ। যাকে বলা হয় করোনাল গর্ত, যা অতিবেগুনী আলোতে দেখা যায় তবে সাধারণত আমাদের চোখে অদৃশ্য থাকে।
Say cheese! 📸
Today, NASA’s Solar Dynamics Observatory caught the Sun "smiling." Seen in ultraviolet light, these dark patches on the Sun are known as coronal holes and are regions where fast solar wind gushes out into space. pic.twitter.com/hVRXaN7Z31— NASA Sun, Space & Scream 🎃 (@NASASun) October 26, 2022
এগুলো সূর্যের পিঠের অঞ্চল
গত বৃহস্পতিবার এই ছবি তোলা হয়েছে। সূর্যের উজ্জ্বল হলুদ রঙের জন্য যা আরও বেশি করে ফুটে উঠেছে। এগুলি সূর্যের পিঠের অঞ্চল। এখান থেকেই সৌরবায়ু দ্রুত মহাকাশ তথা পৃথিবীর দিকে প্রবাহিত হয়। যেহেতু তারা সামান্য সৌর উপাদান ধারণ করে এবং তাদের তাপমাত্রা কম থাকে, তাই তাদের চারপাশটা তুলনায় অনেক অন্ধকার দেখায়। এখানে, চৌম্বক ক্ষেত্রটি আন্তঃগ্রহীয় স্থানের জন্য উন্মুক্ত, সৌর বায়ুর একটি উচ্চ-গতির স্রোতে এটা সৌর উপাদান পাঠায়। যা সৌর ঝড়ের কারণ হতে পারে। করোনাল গর্ত কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
আরও পড়ুন- জিনপিঙের ‘জিরো কোভিড নীতি’তে অতিষ্ঠ চিনবাসী, প্রতিবাদের ভাষা বাপ্পী লাহিড়ির গান
এটা নতুন কিছু না
সূর্যের এই গর্তগুলো নতুন কিছু না। প্রায় ১১ বছর সৌরচক্রের সময়ে এই গর্তগুলো দেখা যায়। নাসা জানিয়েছে, 'এই 'করোনাল হোল'গুলো পৃথিবীর চারপাশে মহাকাশের পরিবেশ বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। NASA ২০১৬ সালে জানিয়েছিল যে সৌরপৃষ্ঠের ছয় থেকে আট শতাংশ আবরণে করোনাল গর্ত দেখা যায়।
আছড়ে পড়তে পারে সৌরঝড়
মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়গুলো পৃথিবীর চৌম্বকমণ্ডলের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটা গ্রহের চারপাশের স্থান, যা এর চৌম্বক ক্ষেত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়। যখন একটি উচ্চগতির সৌরপ্রবাহ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, সেই সময় শক্তিশালী সৌর বায়ুকণা মেরুগুলোর ওপর বায়ুমণ্ডলে আঘাত করতে পারে। অর্থাৎ সৌরঝড় আছড়ে পড়তে পারে পৃথিবীর ওপর।
Read full story in English