Supreme Court gave bail to AAP’s Sanjay Singh: দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় ইডি যখন একের পর এক গ্রেফতার করছে, তখন কেন আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট? বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, দীপঙ্কর দত্ত ও পিবি ভারালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে সিংয়ের জামিনের মামলার শুনানি হয়। কংগ্রেস নেতা তথা প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আপ নেতার পক্ষে যুক্তিতে বলেছেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও মামলাই হয়নি।
ইডির আইনজীবী আপত্তি করেননি
সঞ্জয় সিং আম আদমি পার্টি (এএপি)-র নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট যখন তাঁর জামিন মঞ্জুর করে, সেই সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আইনজীবী কোনও আপত্তি করেননি। আর, সিংভি আদালতকে বুঝিয়ে দেন যে, সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারির কোনও কারণই ইডি দেখাতে পারেনি। দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ পাচারের অভিযোগে সঞ্জয় সিংকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হেফাজতে নিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
সঞ্জয় সিং-কে হেফাজতে চেয়ে আবেদনে ইডি সিংকে, 'আবগারি দুর্নীতি মামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী' হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। যদিও তিনি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত নন। বরং, ইডি সঞ্জয় সিংকে তথাকথিত কেলেঙ্কারি থেকে পাওয়া 'অপরাধের অর্থ' নয়ছয়ের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। সোজা কথায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতই সঞ্জয় সিং তহবিল তছরুপ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নন। তিনি শুধু আর্থিক নয়ছয়ের দায়ে অভিযুক্ত। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (PMLA) ধারা ৩ অনুযায়ী, 'অপরাধের অর্থ' গোপন করাটাও অপরাধের মধ্যেই পড়ে।
সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সঞ্জয় সিংকে হেফাজতে চেয়ে আবেদনে ইডি বলেছিল, 'সঞ্জয় সিং অবৈধভাবে অর্থ পেয়েছেন। ওই অর্থ ছিল, আবগারি নীতি (২০২১-২২) কেলেঙ্কারি থেকে প্রাপ্ত অপরাধের আয়। তিনি এই আবগারি নীতি ষড়যন্ত্রের অংশ। আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি থেকে প্রাপ্ত আয় তাঁর কাছেও এসেছিল। তাঁর (সঞ্জয় সিং) সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে দীনেশ অরোরার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। সেটা দীনেশ অরোরা এবং তাঁর কল রেকর্ড থেকেই প্রকাশ করেছে।'
আরও পড়ুন- কাচাথিভুর বদলে ওয়েজ ব্যাংক! বড় কোনও চাল চেলেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী?
ব্যবসায়ী অরোরা যা জানিয়েছেন
দীনেশ অরোরা হলেন সেই ব্যবসায়ী, যাঁকে ইডি এর আগে 'দক্ষিণী গোষ্ঠী' (দক্ষিণ ভারতের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দল)-র থেকে ঘুষের অর্থ নিয়ে তা আপের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করেছিল। ইডি দাবি করেছে যে অরোরা তদন্তকারীদের বলেছেন যে তিনি সঞ্জয় সিংয়ের নির্দেশে অনেক রেস্তোঁরা মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর, 'আসন্ন নির্বাচনের জন্য দলীয় তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে ৮২ লক্ষ টাকার চেকের ব্যবস্থা করেছেন।' ইডি আরও অভিযোগ করেছেন যে অরোরা অভিযুক্ত সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের সহকারি সর্বেশ মিশ্রের মাধ্যমে সাংসদের কাছে নগদ ২ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। এই তহবিল তছরুপ মামলায় সর্বেশ মিশ্রও অন্যতম অভিযুক্ত।