Advertisment

Explained: পেনশন প্রকল্পে সংশোধনী মামলা আদালতে, কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?

২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইসিএসের নিয়মে সংশোধনী আনা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
EPFO

এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার (৪ নভেম্বর) কর্মচারীদের পেনশন (সংশোধনী) প্রকল্প, ২০১৪ বহাল রাখল। যে কর্মীরা আগে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বা পিএফের কর্মী পেনশন প্রকল্প বা এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমে (ইপিএস) যোগ দেননি, তাঁদের নাম লেখানোর জন্য আরও ছয় মাস সময় দিল। তবে, যাঁদের মূল বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি, তাঁদের বাড়তি টাকা জমার শর্ত শুক্রবার শীর্ষ আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

Advertisment

এমপ্লয়িজ পেনশন প্রকল্প (ইপিএস), ১৯৯৫ কী?
যে ইপিএফও সদস্যদের ইপিএস রয়েছে, তাঁদেরকে মূল বেতনের ১২ % প্রতিমাসে পিএফ খাতে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৮.৩৩ % নিয়ে তৈরি হয়েছিল পেনশন তহবিল। নিয়োগকারী সংস্থাও কর্মীদের পিএফ তহবিলে মূল বেতনের ১২ % প্রতিমাসে জমা করছিল। বাড়তি অনুদান হিসেবে পেনশন তহবিল ৮.৩৩ % জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

২০১৪ সালের সংশোধনী
মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইসিএসের নিয়মে সংশোধনী আনে। এই সংশোধনীতে পেনশন প্রকল্পে যোগ দেওয়ার জন্য মূল বেতনের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে দেয়। তা ৬,৫০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা করে। সেই সংশোধনী বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু, ওই সংশোধনীতে ১৫,০০০ টাকারও বেশি যাঁদের বেতন, তাঁদেরও পেনশন প্রকল্পে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাতে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় যে অতিরিক্ত বেতনের ১.১৬ % শতাংশ অর্থ পেনশন তহবিলে জমা দিতে হবে। এই শর্ত কিন্তু খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কারণ, হিসেবে জানিয়েছে এই শর্ত সংবিধান বিরোধী।

আরও পড়ুন- ভারত সম্পর্কে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, কিন্তু কেন, কী বলেছেন তিনি?

অন্যান্য আদালত কী বলেছিল?
কেরল, রাজস্থান, দিল্লি হাইকোর্ট ২০১৪ সালের যাবতীয় সংশোধনীকে খারিজ করে দিয়েছিল। এই পেনশন প্রকল্পের পরিচালক সংস্থা ইপিএফওর বক্তব্য, এতে সমস্ত বেসরকারি কর্মীকেই ঘুরিয়ে কার্যত পেনশন প্রকল্পে নাম লেখানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সংশোধিত পেনশন প্রকল্পের অধিকাংশই বহাল রাখল।

Read full story in English

Modi Government EPFO Supreme Court of India
Advertisment