অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ বহাল রাখল সু্প্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত সংবিধানের ১০৩তম সংশোধনী বজায় রাখল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি চাকরিতে এই সংরক্ষণ কার্যকর করা হবে। আর, তাতে কোনও আপত্তি নেই বলেই সোমবার জানিয়ে দিল আদালত।
বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বিচারপতি বেলাএম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পাদরিওয়ালা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে এই সংশোধনী সংবিধানের মূল কাঠামো ভাঙছে না। তবে, বাকি তিন বিচারপতির সঙ্গে সহমত হননি প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত ও বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে তিন, দুই অনুপাতে সংরক্ষণের পক্ষেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিচারপতি মাহেশ্বরী তাঁর রায়ে জানান, সংরক্ষণ অসাম্য দূর করার মাধ্যম। তিনি জানান, এটা শুধু মূলধারার স্রোতে সমাজের আর্থিক এবং সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে তুলে ধরার মাধ্যমই নয়। বরং, এটা হল সমাজের দুর্বল শ্রেণির জবাবও। একইসঙ্গে বিচারপতি বলেন, 'এটা সংবিধানের মূল কাঠামোকে মোটেও ধ্বংস করছে না।'
আরও পড়ুন- মোরবি সেতু বিপর্যয়: স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হাইকোর্টের, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব
তিনি আরও জানান, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া (ইডব্লিউএস) শ্রেণির জন্য এই সংরক্ষণ সাম্যর অধিকারেও হস্তক্ষেপ করছে না। নিয়ম রয়েছে সংরক্ষণ কখনও মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ অতিক্রম করবে না। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য এই সংরক্ষণ সেই ৫০ শতাংশের সীমাও অতিক্রম করছে না। এমনটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত।
এই ব্যাপারে আদালত জানিয়েছে যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য এই সংরক্ষণ এসসি, এসটি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অধিকার ভাঙছে না। তারপরও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে উন্নয়নের পথে তুলে ধরছে। বিচারপতি ত্রিবেদী জানান, সংরক্ষণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকা উচিত। কিন্তু, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও সংরক্ষণের প্রয়োজন ফুরোয়নি।
তিনি এই প্রসঙ্গে সংরক্ষণের নীতি বদলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিচারপতি পাদরিওয়ালা জানান, সংরক্ষণ মানে কোনও কিছু শেষ হয়ে যাওয়া না। বরং, এটা সামাজিক এবং আর্থিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। একে কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়।
Read full story in English