Advertisment

Explained: সোমবার ৩৭০ প্রত্যাহার মামলার রায়, কী যুক্তি দিয়েছে আবেদনকারী আর সরকার?

জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ অধিকার দিয়েছিল ৩৭০ ধারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Article 370 Verdict: Tourist at the Dal lake in Srinagar.

২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার পর্যটনের মতো শিল্পগুলিকে বিকাশে সহায়তা করবে। (শুয়াইব মাসুদির এক্সপ্রেস ছবি)

সোমবার, ১১ ডিসেম্বর- জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য থেকে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট আগের বিধির ব্যাপারে আবেদনকারীদের এবং সরকারের কথা শুনেছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেবে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি সূর্য কান্ত।

Advertisment

কেন ৩৭০ ধারা বাতিলকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে?

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সাংবিধানিক আদেশ ২৭২ জারি করেন। যা ৩৬৭ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন করেছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তনের অনুমতি দিয়েছে। রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশের পরের দিন, এই সুপারিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করার জন্য, রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক নির্দেশ ২৭৩ জারি করেন। তাতে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর, ওই বছরই ৯ আগস্ট, সংসদ জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন পাস করে। যা রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করেছে। আবেদনকারীরা সাংবিধানিক আদেশ ২৭২ এবং ২৭৩-এর বৈধতা এবং বিধানটিকে অকার্যকর করা নিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

টানাপোড়েনের কারণ

শুনানির সময়, শীর্ষ আদালত আরও জিজ্ঞাসা করেছিল যে ৩৭০ ধারা, যা সংবিধানে একটি অস্থায়ী বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, ১৯৫৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীর সাংবিধানিক পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কীভাবে স্থায়ী হয়ে গেল? কিছু আবেদনকারী যুক্তি দিয়েছিলেন যে বিধানটি বাতিল করা যেতে পারে না। কারণ, জম্মু ও কাশ্মীর গণপরিষদের মেয়াদ ১৯৫৭ সালে পূর্ববর্তী রাজ্যের সংবিধানের খসড়া তৈরি করার পরে শেষ হয়েছিল। এমন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সম্মতির প্রয়োজন ছিল। সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞাসা করেছে, কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সুপারিশ করতে পারে, যখন সেখানে কোনও সাংবিধানিক সভাই নেই? পালটা কেন্দ্রের দাবি, যা করা হয়েছে সবটাই হয়েছে আইন মোতাবেক।

আরও পড়ুন- শাহি বিবৃতিতে তোলপাড়, নেহেরুর ‘ভু্লের মাশুল’ই কী দিচ্ছে কাশ্মীর?

৩৭০ ধারা কী?

অনুচ্ছেদ ৩৭০, ভারত রাষ্ট্রের মধ্যে পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে একটি বিশেষ মর্যাদা দান করেছিল। সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ ফয়জান মুস্তাফা ও হায়দরাবাদের নালসার (NALSAR) ইউনিভার্সিটি অফ ল-এর প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর, ২০১৯-এ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন: 'সংবিধানে ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর, ৩৭০ ধারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। যা, জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। অনুচ্ছেদ ১ এবং অনুচ্ছেদ ৩৭০ অনুযায়ী, জম্মু-কাশ্মীর নিজস্ব সাংবিধানিক খসড়া তৈরির অনুমতি পেয়েছিল। যা জম্মু-কাশ্মীরের ব্যাপারে সংসদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করেছিল। (Instrument of Accession-IoA)-এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলোর ওপর একটি কেন্দ্রীয় আইন ছিল, রাজ্য সরকারের সঙ্গে শুধুমাত্র 'পরামর্শ' করার জন্য। একইসঙ্গে জানিয়েছিল, উপত্যকায় কেন্দ্রীয় আইন লাগু করতে রাজ্য সরকারের 'সম্মতি' বাধ্যতামূলক। যখন তা ভারতীয় স্বাধীনতা আইন, ১৯৪৭ অনুযায়ী ব্রিটিশ ভারতকে, ভারত আর পাকিস্তানে বিভক্ত করেছিল, (IoA) সেই সময় কার্যকর হয়।

Article 370 jammu and kashmir Jammu and Kashmir Special Status Supreme Court of India
Advertisment