Sandeshkhali Adhikari: রাজনীতিতেও কখনও সখনও তিনজনকেও ভিড় বলা যেতে পারে। অন্তত তৃণমূল কংগ্রেস তো তাই মনে করে। সন্দেশখালি ঝড়ের মধ্যে এই তিন জনের, আরও স্পষ্ট করে বললে তিন অধিকারীর ভিড় নিয়ে এখন চিন্তায় তৃণমূল কংগ্রেস। এই তিনের মধ্যে একজন শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর ভাই দিব্যেন্দু ও বাবা শিশির অধিকারী এখনও সাংসদ। দু'জনকেই অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু, লাভ হয়নি। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে গিয়েই এব্যাপারে তৃণমূলের যাবতীয় লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে, রাজ্যের শাসক দলের একটাই স্বস্তি। বাবা ও ভাই অধিকারী খুব একটা বেশি সামনে আসেন না। মন্তব্য করেন না। যদিও সন্দেশখালি ইস্যুতে তাঁরা নীরবতা ভেঙেছেন।
তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার ভিত্তি
দুই অধিকারীর মধ্যে শিশির অধিকারী সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাজকর্মে বিরক্ত রাজ্যপাল সন্দেশখালির নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মহিলাদের জন্য রাজভবনের দ্বার খুলে দিয়েছেন। কারণ, বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল বাহুবলীরা সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর ব্যাপক যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় শিশির অধিকারী নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে সন্দেশখালির পরিস্থিতির তুলনা করেছে। শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন টিএমসির ক্ষমতায় আসার অন্যতম ভিত্তি ছিল।
শিশির অধিকারীর বক্তব্য
এই প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী বলেন, 'আমি খুব ভালো করেই জানি, মানুষ যখন তাঁদের ঘরবাড়ি হারায় তখন কী কষ্ট হয়! নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন। টিএমসি নেতা ও কর্মীদের সাথে তাঁরা আমার বাসভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। রাজ্যপাল যদি সেভাবেই সন্দেশখালির বাসিন্দাদের কিছু দিনের জন্য রাজভবনে আশ্রয় দিতে পারেন, তবে সন্দেশখালির নির্যাতিত বাসিন্দারা কিছুটা হলেও তারা নিরাপদ বোধ করবেন।'
আরও পড়ুন- টুকলিও হার মানবে! বই দেখে পরীক্ষা, সিবিএসইর নতুন পরিকল্পনাটা আসলে কী?
দিব্যেন্দু অধিকারীর বক্তব্য
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রশংসা করেছেন দিব্যেন্দু অধিকারীও। দিব্যেন্দ্যু এই ব্যাপারে রাজ্যপালকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন, 'সন্দেশখালির নির্যাতিত মহিলাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত সত্যিই একটি অকল্পনীয় পদক্ষেপ। আমি আপনার ঘোষণাকে প্রণাম জানাই।' দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে তিনি রাজ্যপালকে সাহায্য করতে পারলে নিজেকেই ধন্য মনে করবেন।