Swaminathan Commission on Farmers: গত ৬ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনকারী কৃষকরা সরকারের কাছে একটি ইমেলে ১২টি দাবি পেশ করেছেন। তার প্রথমটি হল- এমএসপিতে সমস্ত কৃষকদের সমস্ত ফসল ক্রয়ের আইনি গ্যারান্টি দিতে হবে। দ্বিতীয়টি হল- ড. স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মানতে হবে। সেটা মানতে ফসলের দাম নির্ধারণের জন্য একটি আইন তৈরি করতে হবে। চণ্ডীগড়ে তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কৃষক ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যে তিন দফা বৈঠক অমীমাংসিতই থেকে গেছে। চতুর্থ রাউন্ড হওয়ার কথা রবিবার।
- কমিশন ১০টি বিষয়ে আলোকপাত করেছিল।
- মোট ১,৯৪৬ পৃষ্ঠার পাঁচটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
- কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন ছিলেন কমিশনের নেতৃত্বে।
স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্ট
কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথনকে চলতি মাসে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে ভারতীয় কৃষির পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই পরিবর্তন ভারতকে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে সাহায্য করেছিল। প্রায় ২০ বছর আগে, ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর, কৃষি মন্ত্রক অধ্যাপক স্বামীনাথনের নেতৃত্বে কৃষকদের জন্য একটি জাতীয় কৃষি কমিশন (এনসিএফ) গঠন করেছিল। কমিশনে দুজন পূর্ণকালীন সদস্য ছিলেন। তাঁরা হলেন ড. রামবদন সিং ও ওয়াইসি নন্দা। এছাড়াও চার জন আংশিক সময়ের সদস্য ছিলেন সেই কমিশনে। তাঁরা হলেন- ড. আরএল পিতালে, জগদীশ প্রধান, চন্দ নিম্বকর ও অতুলকুমার অঞ্জন। এছাড়াও কমিশনের অংশ ছিলেন এর সদস্য তথা কেন্দ্রীয় সচিব অতুল সিনহা।
স্বামীনাথন কমিশনের শর্তাবলি
কমিশন ১০টি বিষয়ে আলোকপাত করে। যা কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচিকে প্রতিফলিত করেছিল। কমিশন- খাদ্য, পুষ্টি এবং খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতে মাঝামাঝি রাস্তা নিয়েছিল। আর, উৎপাদনশীলতা, লাভের বৃদ্ধি এবং দেশের কৃষি ব্যবস্থার স্থায়িত্বের ওপর জোর দিয়েছিল। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে জাতীয় কৃষি কমিশন মোট ১,৯৪৬ পৃষ্ঠার পাঁচটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টে কৃষকদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানানো হয়েছিল। বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছিল ওই রিপোর্টে। যার মধ্যে দুটি ছিল এমএসপি সংক্রান্ত। তবে, স্বামীনাথন কমিশন বর্তমান আন্দোলনকারী কৃষকদের মত এমএসপির জন্য একটি আইনি গ্যারান্টির সুপারিশ করেনি। পাশাপাশি, কৃষক ইউনিয়নগুলোর দাবিমত ফসলের দাম নির্ধারণের জন্য কোনও আইন তৈরির সুপারিশও করেনি।
আরও পড়ুন- প্রকল্পের কৌশলেই নাস্তানাবুদ করছে কেন্দ্র? আদালতে বিরাট অভিযোগ বিরোধীদের, কী জানাল সরকার?
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কমিশন যা বলেছে
প্রথমত- উৎপাদিত ফসল, 'বিশেষ করে খারিফ ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) ইস্যুতে বিলম্ব এড়ানো দরকার।' দ্বিতীয়ত- বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বাস্তবায়ন করা উচিত। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যে কৃষিপণ্যের দাম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নীচে চলে যায়। আর এক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতি ঠেকাতে কোনও সরকারি হস্তক্ষেপও হয় না।