বুধবার কেন্দ্র ভারতের ২০১৯ সালের যক্ষ্মা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে গত বছরের তুলনায় যক্ষ্মা রোগের ঘটনা বেড়েছে ১৬ শতাংশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৮ সালে ২১.৫ লক্ষ যক্ষ্মার কেস নথিভুক্ত হয়েছে।
মোট নথিভুক্ত ঘটনার ২৫ শতাংশ, (৫.৪ লক্ষ) বেসরকারি ক্ষেত্রের, যা আগের বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। নথিভুক্ত কেসের মধ্যে ১৯.১ লক্ষ (৯০ শতাংশ) ক্ষেত্রে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রই রয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে ৮৯ শতাংশই ১৫-৬৯ বছর বয়স্ক।
রাজ্যওয়ারি হিসেব
দেশের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশের বাস উত্তর প্রদেশে। এখানে মোট ৫.২ লক্ষ যক্ষ্মা রোগের ঘটনা নথিভু্ক্ত হয়েছে। মোট নথিভুক্তির ২০ শতাংশই (প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় ১৮৭ জন) এখানে।
২০১৭ এবং ২০১৮ সালের মধ্যে হরিয়ানায় যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটেছে রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে।
অন্যদিকে ওড়িশায় নথিভুক্ত যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমেছে। ২০১৭ সালে যেখানে নথিভুক্তির সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার, সেখানে ২০১৮ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০,২৪৪-এ। রাজ্যগুলির মধ্যে ওড়িশাতেই সংখ্যা কমেছে। এ ছাড়া লাক্ষাদ্বীপ ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও নথিভুক্তি কমেছে।
অন্য দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি এবং চণ্ডীগড়ে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যাপিছু যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দিল্লিতে ৪১৭ এবং চণ্ডীগড়ে ৪৬৮। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখানে নথিভুক্তির সংখ্যা এত বৃদ্ধির কারণ হল দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষ এ অঞ্চলে রোগের কথা রিপোর্ট করেন।
যক্ষ্মা ও এইচআইভি
এইচ আই ভি সংক্রমিতদের মধ্যে মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হল যক্ষ্মা । এইচ আইভি সংক্রমিতদের ৩ শতাংশের মধ্যে যক্ষ্মা সংক্রমণও রয়েছে। প্রতি বছর ৮৬ হাজার এইচআইভি এবং যক্ষ্মার যৌথ সংক্রমিতদের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। এই ধরনের মানুষদের মধ্যে মৃত্যুহার খুবই বেশি, প্রতি বছর ১১ হাজার এইচ আইভি সংক্রমিত রোগী যক্ষ্মাতে মারা যান।
পৃথিবীর মোট এইচআইভি রোগীদের হিসেব দেখলে, ভারতের স্থান সেখানে তৃতীয়। রিপোর্ট বলছে এইচআইভি সংক্রমিতদের মধ্যে যক্ষ্মা হওয়ার সম্ভাবনা ২১ গুণ বেশি।
Read the Full Story in English