Explained: বিজেপিতে যোগদানের জন্য টিআরএস বিধায়কদের ঘুষ দিতে এসে তেলেঙ্গানায় গ্রেফতার তিন

এক বিধায়ককে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। স্পাই ক্যামেরা এবং ভয়েস রেকর্ডার নিয়ে ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ।

এক বিধায়ককে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। স্পাই ক্যামেরা এবং ভয়েস রেকর্ডার নিয়ে ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
K. Chandrashekar Rao

অভিযোগ জানাচ্ছেন কে চন্দ্রশেখর রাও

ঝাড়খণ্ড থেকে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তেলেঙ্গানা- যেখানেই অবিজেপিশাসিত রাজ্য, সেখানেই দল ভাঙানোর অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বর্তমানে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কালভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাও। সম্প্রতি তাঁর দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির নাম বদলে হয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। চন্দ্রশেখর রাওয়ের অভিযোগ, তাঁর দলের বিধায়কদের ভাঙাতে চাইছে বিজেপি। কেন তিনি এমন অভিযোগ করছেন? ঠিক কী হয়েছে?

Advertisment

কী অভিযোগ করেছেন রাও?
গত ২৬ অক্টোবর রাতে সাইবারাবাদ পুলিশ হায়দরাবাদের কাছেই ময়নাবাদের এক খামারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, বিজেপিতে যাওয়ার জন্য চার জন টিআরএস বিধায়ককে ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল ওই তিন জন। পুলিশ জানিয়েছে যে তান্দুরের টিআরএস বিধায়ক পি রোহিত রেড্ডি ওই বিধায়কদের আগের দিনই সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে বিজেপির ঘনিষ্ঠ তিন জন ওই বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করবেন। ওই ব্যক্তিরা তাঁকে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছেন।

জাল পেতেছিল পুলিশ
পি রোহিত রেড্ডি পুলিশকে আরও জানিয়েছিলেন যে অভিযুক্ত তিন জন তাঁকে আরও তিন বিধায়ক জি বলরাজ, হরবর্ধন রেড্ডি ও কাঁথা রাওকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার ভার দিয়েছিল। জানিয়েছিল, ওই তিন বিধায়কের প্রত্যেককে বিজেপিতে যোগদানের জন্য ৫০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে। পুলিশ বলেছে যে রেড্ডির থেকে এই খবর পেয়ে তাঁরা বিধায়কদের কেনার প্রস্তাব দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তদের ফাঁদে ফেলতে স্পাই ক্যামেরা এবং ভয়েস রেকর্ডার রেখেছিলেন।

Advertisment

আরও পড়ুন- এবার কেরলে নিয়োগ দুর্নীতি, দলের কাছে প্রার্থীতালিকা চেয়ে কাঠগড়ায় সিপিএমের মেয়র

হাতেনাতে গ্রেফতার
পুলিশ জানিয়েছে যে ওই তিন জন ফার্মহাউসে আসার পরে, তাঁরা বিধায়কদের সঙ্গে যে কথা বলেছিল, তার সবকিছু রেকর্ড করা হয়েছে। তার পরে বাইরে অপেক্ষারত পুলিশকে একটি দলকে সংকেত দেওয়া হয়। পুলিশের দলটি খামারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এই অভিযান চালানোর আগে এবং পরে অনেক নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু সাংবাদিককেও পুলিশ খবর পৌঁছে দিয়েছিল। তাঁরা খামারবাড়িতে গিয়ে ঘটনার খবর সংগ্রহ করেন।

Read full story in English

MLA TRS bjp