Advertisment

ভাড়াটিয়া তথ্য যাচাই, না করলে কী কী বিপদে পড়তে পারেন আপনি

ভাড়াটিয়া বা পরিচারক যাচাইয়ের পদ্ধতিটি প্রতিষেধক একটি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে পড়াশোনা, চাকরি বা ব্যবসার জন্য যাঁরা নিজেদের এলাকা থেকে অন্যত্র বসবাস করছেন তাঁদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য রাখতে পারে জেলা পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Tenants, Explained

ভাডাটিয়ার পাসপোর্ট বা গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানারও অধিকার আছে বাড়ি মালিকের

ভাড়াটিয়া সম্পর্কিত তথ্য যেসব আবাসিক বা বাণিজ্যিক সম্পত্তির মালিকরা সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করল চণ্ডীগড় পুলিশ।

Advertisment

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নং ধারানুসারে ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চণ্ডীগড়ের জেলাশাসক তথা ডেপুটি কমিশনারের মন্দির সিং ব্রারের জারি করা এক নির্দেশে বলা হয়েছে, সমস্ত আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তি মালিকদের ভাড়াটিয়া, পেয়িং গেস্ট এবং পরিচারক সম্পর্কিত তথ্য তাঁদের এলাকার এসএইচও-র কাছে জমা দিতে হবে।

ভাড়াটিয়া/পেয়িং গেস্ট/পরিচারক সম্পর্কিত তথ্য যাচাই কী?

ভাড়াটিয়া বা পরিচারক যাচাইয়ের পদ্ধতিটি প্রতিষেধক একটি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে পড়াশোনা, চাকরি বা ব্যবসার জন্য যাঁরা নিজেদের এলাকা থেকে অন্যত্র বসবাস করছেন তাঁদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য রাখতে পারে জেলা পুলিশ। এর মূল উদ্দেশ্য হল সমাজবিরোধী এবং অপরাধীদের ব্যাপারে খোঁজ রাখা। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, "সম্পত্তির মালিকদের তাঁর ভাড়াটিয়ার ইতিহাস জানার দাবি করার অধিকার নেই বটে, কিন্তু তাঁর স্থায়ী ঠিকানা, পেশাগত বিস্তারিত বিবরণ, পরিচয়পত্রের প্রমাণ, আগে কখনও কোনও সিভিল বা ফৌজদারি মামলায় সাজা পেয়েছেন কিনা, এসব জানার অধিকার রয়েছেন তাঁর।"

ফোটো, নাম, স্থায়ী ঠিকানা, ফোন নং, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নং, ও পাসপোর্ট নং যাচাই করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এ ছাড়া ভাড়াটিয়ার পরিবারের সদস্যদের বিস্তারিত বিবরণ এবং সে বাড়ির পরিচারকদের বিবরণও এর অন্তর্ভুক্ত। ভাড়াটিয়ার আঙুলেৎ ছাপও জরুরি।

বাড়ির মালিক এর আওতায় আসেন কীভাবে

রাজ্যের বাইরে থেকে যাঁরা চণ্ডীগড়ে এসে থাকছেন, তাঁদের সম্পর্কে তথ্যাদি জানার জন্য প্রাথমিক সূত্র হলেন বাড়ির মালিক। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা অনুসারে একজন বাড়ির মালিকের দায়িত্ব তাঁর বাড়ির ভাড়াটিয়া ও পরিচারক সম্পর্কিত তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে জানানো। পুলিশের কাছে এসব তথ্য জানানোর সময়সীমা যদিও নির্দিষ্ট নয়, তবে পুলিশ দু সপ্তাহের মত অপেক্ষা করে এ ব্যাপারে।

যাচাই কীভাবে করতে হয়

২ টাকার বিনিময়ে এ সম্পর্কিত ফর্ম কিনে তা জমা করা যায় সম্পর্ক কেন্দ্রে। কেন্দ্রগুলি থেকে এর বিনিময়ে রসিদ দেওয়া হয়। সেখান থেকে ফর্ম পৌঁছে যায় সংশ্লিষ্ট থানায়। ফর্ম ডাউনলোড করে নেওয়া যায় ইন্টারনেট থেকেও। আবার সরাসরি থানা থেকেও ফর্ম সংগ্রহ করে সেখানেই ভর্তি করা ফর্ম জমা দেওয়া যায়। ভাড়াটিয়া-পেয়িং গেস্টদের জন্য একরকম ফর্ম ও পরিচারকদের জন্য আরেক রকম ফর্ম  পাওয়া যায়।

জমা পড়া ফর্ম নিয়ে পুলিশ কী করে

পুলিশ এই ফর্মগুলির ফোটো কপি ইনফর্মেশন শিটগুলির সঙ্গে জুড়ে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে এই তথ্যগুলি যথাযথ কিনা তা যাচাই করে দেখা হয়।

শাস্তি

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা ১৮৮ ধারা (সরকারি কর্মচারীর ঘোষিত নির্দেশ অমান্য) অনুসারে অপরাধ। আইনজীবী হরিশ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, এর ফলে ৬ মাস পর্যন্ত জেল ও ১০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। এটি খুচরো ইপরাধের তালিকায় পড়ে। সাধারণভাবে এ আইনে জরিমানা ধার্য করা হয়ে থাকে।

Read the Full Story in English

Explained
Advertisment